পঞ্চাশে পা রাখলেন শচীন
প্রকাশিত : ০৯:৪২, ২৪ এপ্রিল ২০২৩ | আপডেট: ০৯:৪৩, ২৪ এপ্রিল ২০২৩
সর্বকালের সেরাদের একজন। ক্রিকেটই যার ধ্যান, জ্ঞান। তিনি শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। ক্রিকেট ঈশ্বর জীবনের ইনিংসে শচীন আজ পা রাখলেন পঞ্চাশে। এখনো তিনি টেস্ট ও ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। নামের পাশে একশ’ সেঞ্চুরির রেকর্ড। ব্যাট-প্যাড তুলে রাখলেও এখনও ক্রিকেটের সঙ্গেই আছেন এই ক্রিকেট ঈশ্বর।
১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। বাবা রমেশ টেন্ডুলকার বাংলার গীতিকার শচিন দেব বর্মনের ভক্ত। তাই পূত্রের নাম রাখেন শচিন রমেশ টেন্ডুলকার।
বড়ভাই অজিত টেন্ডুলকারের হাত ধরে ক্রিকেট শিক্ষা। ভারত যে বছর বিশ্বকাপ ঘরে তোলে সে বছরই শুরু শচীনের ক্রিকেট। গুরু রামাকান্ত আরচেকার প্রথম দেখাতেই বুঝেছিলেন শচীনই শাসন করবেন ক্রিকেট বিশ্ব।
স্কুল ক্রিকেটে ১৯৮৮ সালে বন্ধু বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে আজাদ ময়দানে ৬৬৪ রানের জুটি গড়ে রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন। ওই বছরই মুম্বাইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি।
পরের বছর মাত্র ষোলো বছর বয়সে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় শচিনের। শুরু হয় ব্যাট হাতে বাইশ গজে শচীনের রাজত্ব।
পরিবারের সঙ্গে শচীন
ক্রিকেট জীবনে খারাপ সময়ও দেখতে হয়েছে শচীনকে। বাবার মৃত্যুতে বিশ্বকাপ ছেড়ে আসতে হয়েছে। অধিনায়কত্ব নিয়ে নানা কথার পর নেতৃত্ব ছাড়তে হয়েছে। এমন কি দল থেকেও বাদ পড়তে হয়েছে।
ভারতকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন। সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করেছেন। দুশ’ টেস্টে করেছেন ১৫ হাজার ৯২১ রান। ওয়ানডেতে করেছেন ১৮ হাজার ৪২৬ রান।
পঞ্চাশের শচীন বাইশ গজে না থাকলেও আছেন ক্রিকেটের সঙ্গেই। ক্রিকেট ঈশ্বর শচীন সবসময়ই অসহায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিবছর মেয়ে সারার জন্মদিন উদাযাপন করেন মুম্বাইয়ের বস্তিবাসীদের সঙ্গে। অনাথ স্কুলে দান করেন, একটি গ্রামের উন্নয়নের দায়িত্বও নিয়েছেন।
ক্যানসার সচেতনতাসহ নীরবে মানবতার সেবা করছেন শচীন। তাইতো তিনি সবার থেকে আলাদা।
এএইচ