ঢাকা, শুক্রবার   ১৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এখন কানাডার পুলিশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৭, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১৩:২৯, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে একসময় তিনি ছিলেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান। জাতীয় দলের হয়ে তিন ফরম্যাটেই প্রতিনিধিত্ব করেছেন মেহরাব হোসেন জুনিয়র। সবশেষ ২০০৯ সালে লাল-সবুজের জার্সিতে খেললেও মেহরাব এবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন ভিন্ন এক কারণে। কানাডার পুলিশে নাম লিখিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন অঙ্গনে কানাডার পুলিশ হিসেবে মেহরাব হোসেন জুনিয়রের যোগ দেয়ার বিষয়টি উঠে আসে। বাংলাদেশি এই ক্রিকেটারের এমন খবর নেট দুনিয়ায় ভাইরাল টপিকে পরিণত হয়েছে। মেহরাবের একসময়ের সতীর্থ থেকে শুরু করে টাইগার ক্রিকেটের ভক্ত-সমর্থকরা তাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন।

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দারুণ আলো ছড়ানো মেহরাব অমিত প্রতিভা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথ চলা শুরু করেন। তবে নামের প্রতি সেভাবে সুবিচার করতে না পারায় ক্যারিয়ার খুব একটা দীর্ঘ হয়নি তার। অনেকটা নীরবেই পেশাদার ক্রিকেট-জীবন শেষ করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে সপরিবারে কানাডায় চলে যান তিনি।

সেখানে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন মেহরাব। এরপর তিনি কানাডা পুলিশে চাকরির জন্য আবেদন করেন। সম্প্রতি তাকে অফিসিয়ালি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া তার ছবিতে দেখা যায়, নায়াগ্রা আঞ্চলিক পুলিশ হেডকোয়ার্টারে এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে ডিউটি ব্যাচ নিচ্ছেন মেহরাব। এখন থেকে কানাডার আইনশৃঙ্খলা সামলাবেন বাংলাদেশের সাবেক এ বাঁহাতি ব্যাটার।

২০০৬ সালের ১৩ অক্টোবর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জোতিক ক্রিকেটে অভিষেক মেহরাবের। এরপর ২০০৯ সালে শেষবার বাংলাদেশের হয়ে খেলা মেহরাব ৭টি টেস্ট, ১৮টি ওয়ানডে ও ২টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।

ব্যাট হাতে ৭ টেস্টে করেছেন ২৪৩ রান, যেখানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৩ রানের ইনিংসই ক্যারিয়ার সেরা। ১৮ ওয়ানডেতে করেছেন ২৭৬ রান, ফিফটি আছে একটি। আর ২ টি-টোয়েন্টিতে করেছেন মাত্র ১৬ রান। বল হাতে ৭ টেস্টে ৪ ও ১৮ ওয়ানডেতে পেয়েছেন ৪ উইকেট।

এমএম//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি