ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অনন্য রেকর্ড বাংলাদেশের   

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১৩, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাহসী দুই নারীসহ ২৮ জন সাঁতারু বঙ্গপোসাগরের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিনের সাড়ে ৬ ঘন্টায় বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন। ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়া ফরচুন বাংলা চ্যানেল অ্যাডভেঞ্চারে এ রেকর্ড গড়েন তারা। ১৩তম সাঁতার অনুষ্ঠানে একসঙ্গে ২৮ জন দেশীয় সাঁতারু সাঁতার শুরু করে এ রেকর্ড করেন।  

প্রথমবারের মতো দেশীয় নারী হিসেবে এ বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার কৃতিত্ব লাভ করেন সাঁতারু পূর্ণিমা খাতুন ও মোছাম্মৎ মিতু আখতার । গত ১২ বছরের ১৩ বার সফল সাঁতারু লিপটন সরকার, তিনিই ছিলেন এবারের ২৮ জন সাঁতারুর দলনেতা।

অন্যদিকে মনিরুজ্জামান ছয়বার, ফজলুল কবির সিনা পাঁচবার, সামসুজ্জামান আরাফাত তিনবার এবং শাহাদত বাশার একবার এই চ্যানেলটি পাড়ি দিয়েছেন। তাদের সাথে প্রথমবারের মতো যোগ দিয়েছেন ঢাকা, বগুড়া ও রংপুরের আরো ২৩ জন।  

পূর্ণিমা খাতুন ও মিতু আখতার বলেন, জীবনের প্রথমবার দেশীয় নারী হিসেবে এ বাংলা চ্যানেলটি সাঁতার দিয়েছি। আর এর মাধ্যমে দেশের অপর সাঁতারুদের আগামীতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

‘বাংলা চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয় ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি শাহপরীর দ্বীপ-সেন্টমার্টিন রুটে । মূলত এটির স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। যিনি নিজেও একজন বিখ্যাত আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার এবং নানাবিধ অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার তত্ত্বাবধানেই প্রথমবারের মতো ফজলুল কবির সিনা, লিপটন সরকার এবং সালমান সাঈদ `বাংলা চ্যানেল` পাড়ি দেন। এরপর থেকে প্রতিবছরই এটির আয়োজন করা হচ্ছে।

এবারের আসরে সাঁতারুদের মধ্যে ছেলে-মেয়ে, নবীন-প্রবীণ—সবাই ছিলেন। বয়সসীমা ১৪ থেকে ৬৬ বছর।  সবচেয়ে বয়স্ক সাঁতারু হিসেবে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন ৬৬ বছর বয়সী মিজানুর রহমান।

৩ ঘণ্টা ৮ মিনিট ৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেন্ট মার্টিনে পৌঁছান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম। বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার এটাই দ্রুততম সময়। এর আগে ২০১৬ সালে ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন ভারতের সাঁতারু রিতু কেডিয়া।

দলনেতা লিপটন সরকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এবারই একসঙ্গে এত বেশিসংখ্যক সাঁতারু বাংলা চ্যানেল অভিযানে অংশ নিয়েছেন। ২৮ জনের মধ্যে ১৮ জন পুরো দূরত্ব সফলভাবে সাঁতরাতে পেরেছেন। বড় কথা হলো, এই প্রথম মিতু আখতার বাংলাদেশি মেয়ে হিসেবে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিল। তার এই সাফল্যের কারণে আগামী দিনে নারী সাঁতারুরা এমন অভিযানে অংশ নিতে আগ্রহী হবেন। 

তিনি আরোও বলেন, কক্সবাজার জেলার সীমান্ত নগরী টেকনাফ উপজেলাকে পযর্টন শিল্প হিসাবে গড়ে তোলা এবং দেশী বিদেশী পযর্টকদের শাহপরীদ্বীপ এই চ্যানেলটি পরিচিত ও আকৃষ্ট করার অন্যতম ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। 

এএইচ/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি