রাশিয়ার যে মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপ ফুটবল
প্রকাশিত : ১৬:০৬, ২৩ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৬:০৯, ২৩ মে ২০১৮
ফুটবল বিশ্বকাপের দামামা এরই মধ্যে বাজতে শুরু করেছে। এরইমধ্যে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানিসহ প্রিয় দলগুলোর পতাকা শোভা পাচ্ছে ফুটবল প্রেমীদের হাতে। বিশ্বকাপ ও প্রিয় দল নিয়ে মাতামাতি আরও আড্ডাও ইতোমধ্যে জমে উঠেছে। ফুটবল মানে কয়েক ভাগে বিভক্ত ফুটবল প্রেমীরা। তাদের যুদ্ধ ছাড়িয়ে যায় মাঠের ফুটবলকেও। তবে যে মাঠে হবে আসল লড়াই, আসুন সেসব মাঠ নিয়ে জেনে নিই-
লুঝনিকি স্টেডিয়াম, মস্কো:
রাশিয়ার লুঝনিকি স্টেডিয়াম। নয়নাভিরাম এ সবুজ মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ ৷ ১৯৫৬ সালে তৈরি এই এরিনায় অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮০-র অলিম্পিক৷ পরে অবশ্য এটিকে পূনর্নিমাণ করা হয়৷ ৮১ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারবেন এ স্টেডিয়ামে।
রস্তভ এরেনা, রস্তভ-অন-ডন:
রস্তভ-অন-ডনে এই ভেন্যুটি তৈরিই করা হয়েছে ২০১৮ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে৷ এর ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার৷ এই স্টেডিয়ামটি তৈরির সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়৷
সেন্ট্রাল স্টেডিয়াম, ইয়েকাটেরিনবুর্গ:
এই স্টেডিয়ামটি আগে ছিল ৩৫ হাজার দর্শকের জন্য৷ একে বিশ্বকাপের ভেন্যু উপযোগী করে তুলতে আরো ১২ হাজার সিট যুক্ত করা হয়েছে৷ বিশ্বকাপের পর একে আরো সংস্কার করা হবে৷
ক্রেস্তভস্কি স্টেডিয়াম, সেন্ট পিটার্সবুর্গ:
সৌন্দর্যমন্ডিত সেন্ট পিটার্সবুর্গের এই স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ৬৮ হাজার৷ এটি এখন এফসি জেনিথের মাঠ৷ পুরোনো একটি স্টেডিয়াম ভেঙে সে জায়গায় এটি নির্মাণ করা হয়েছে৷
কাজান এরেনা, কাজান:
ভ্লাদিমির পুটিন নিজে এই স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন৷ ৪১,৫৮৫ দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই স্টেডিয়ামটি রুবিন কাজান ক্লাবের হোমগ্রাউন্ড৷
অলিম্পিক স্টেডিয়াম, সোচি:
শীতের অলিম্পিকের জন্য তৈরি এই ভেন্যুটির ধারণক্ষমতা ৪১,২২০৷ এখানে প্রথম দুই রাউন্ডের ম্যাচ ছাড়াও একটি কোয়ার্টার ফাইনালও হবার কথা রয়েছে৷
এ ছাড়া আরও কিছু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে খেলা। সেগুলো হলো-
কলিনিনগ্রাদ স্টেডিয়াম, কলিনিনগ্রাদ:
রাশিয়ার সর্বপশ্চিমের স্টেডিয়াম এটি৷ ৩৫ হাজারের চেয়ে কিছু বেশি এর দর্শক ধারণক্ষমতা৷
নিঝনি নভগোরদ স্টেডিয়াম, নিঝনি নভগোরদ:
এটিও এই বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বানানো নতুন স্টেডিয়াম৷ এর ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার৷
ভলগোগ্রাদ এরেনা, ভলগোগ্রাদ:
এই ভলগোগ্রাদেরই আগের নাম ছিল স্টালিনগ্রাদ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার বিজয়ের সাক্ষী এই শহরে তৈরি এই স্টেডিয়ামটি ভলগা নদীর তীরে অবস্থিত৷ ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজারের কিছু বেশি৷
মর্ডোভিয়া এরেনা, সারানস্ক:
৪৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামটি স্থানীয় তৃতীয় বিভাগের ক্লাব মর্ডোভিয়া সারানস্কের হোমগ্রাউন্ড৷
কসমস এরেনা, সামারা:
এই স্টেডিয়ামটি হওয়ার কথা ছিল ভলগা নদীর একটি দ্বীপে৷ কিন্তু সেই দ্বীপে যেতে কোনো সেতু না থাকায়, এটিকে সামারায় নিয়ে আসা হয়েছে৷ এর ধারণক্ষমতা ৪৪ হাজার৷
সূত্র: ডয়েচে ভেলে