হোয়াইট ওয়াশ হলো বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ০৮:৪৭, ১৫ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৭:১১, ১৬ জুলাই ২০১৮
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হোয়াইট ওয়াশ হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টানা ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর শেষ ইনিংসে ভালো বোলিং দিয়ে আশার সঞ্চার করে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয় দিয়েই হার মেনে নিতে হলো টাইগারদের।
তবে পুরো খেলায় সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং ও বোলিং সফলতা ছাড়া আর চোখে পড়ার মতো কিছু ছিল না।
৬ উইকেট আর হাফসেঞ্চুরি দিয়েই নিজের অধিনায়কত্বের গর্জন ছেড়েছেন তিনি। কিন্তু অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩৩৫ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৬৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ। আর ১৬৬ রানের হারেই দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের কাছে হোয়াইট ওয়াশ হলো বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৯ রানে প্যাকেট করতে সক্ষম হয়েছিলো বাংলাদেশ। প্রায় তিন দিন হাতে রেখে জ্যামাইকা টেস্টে ৩৩৫ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের ব্যাটিং-এর শুরুতেই প্রথম সেশনে হোঁচট খেয়ে ৫২ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলে সাকিব। কিন্তু শেষ সেশনে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভেঙে দেয় আশা।
খেলার শুরুতেই ৭ বলে ০ রান করে চরম ব্যর্থতা নিয়ে হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হন তামিম ইকবাল। ৩৩ রানে পলের বলে হপের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে তামিমকে অনুসরণ করে টাইগারদের ব্যটসম্যান লিটন দাস। ৪৩ বল খেলে ১৫ রান অর্জন করে চেজের বলে আবার এলবিডব্লিউ। থেমে থাকেনি চেজ। তার বলেই আবারও ক্যাচ ধরে ১০ বলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ।
৬৭ রানে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারানোর পর অধিনায়কের সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের জুটিতে গড়ে ওঠে প্রতিরোধের দেয়াল। সে দেয়াল গুড়িয়ে দিয়ে ৩১ রানে তাকে বোল্ড করেন হোল্ডার। আবারও এগিয়ে এলেন স্বাগতিকদের অধিনায়কের হোল্ডার। এলবিডাব্লিউ দিয়ে নুরুল হাসানকে ডাক খাইয়ে ফেরত পাঠান প্যাভিলিয়নে। গেব্রিয়েলের বলে স্মিথের ক্যাচে মাত্র ১০ রানে মেহেদী হাসান মিরাজ বিদায় নেন।
২৩তম অর্ধশত রান পাওয়া সাকিব ৮১ বলে ১০ চারে ৫৪ রান নিয়ে খেলা বোল্ড হন হোল্ডারের বলে। এরপর আর ক্রিজে দাঁড়াতে পারেনি কামরুল ইসলাম ও আবু জায়েদ রাহী। আর ২২ বলে ১৩ রান করে নিয়মানুযায়ী একজন অপরাজিত হিসেবে নাম লেখান তাইজুল ইসলাম। শেষ হলো ১৬৮ রানের বাংলাদেশি সফর। সঙ্গে সঙ্গেই সিল পড়লো হোয়াইট ওয়াশের।
স্বাগতিকদের পক্ষে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া হোল্ডার দ্বিতীয় ইনিংসেও পেলেন ৬ উইকেট, তাও মাত্র ৫৯ রান দিয়ে। ফলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটিও গেল তার ঝুড়িতে।
এসএ/