ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বিপিএল ২০১৯

নেপালি ক্রিকেটারের উঠে আসার গল্প

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০৩, ৯ জানুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১৪:০৪, ৯ জানুয়ারি ২০১৯

সন্দিপ লামিচান

সন্দিপ লামিচান

সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে উড়ে এসে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে যোগ দিয়েছেন সন্দিপ লামিচান। বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগে ভালোই করছিলেন তিনি। ৪ ম্যাচেই তুলে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট।

তাই তার প্রতি প্রথম প্রশ্ন রাখা হয় কেনো মেলবোর্ন স্টার্স ছেড়ে সিলেট সিক্সার্সে তিনি?

সহজ সরল উত্তর দেন লামিচান, ‘আমার চুক্তি আরো দশ মাস আগে হয় সিলেট সিক্সার্সের সাথে। ওখানে ভালোই করছিলাম কিন্তু ওদের আমি জানিয়ে দেই আমার চুক্তি আছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে। যদি সেখান থেকে খেলায় ফাঁকা থাকে তবেই ফিরবো অস্ট্রেলিয়া।’

তবে চুক্তির বাইরেও বাংলাদেশের প্রতি অনুরাগ রয়েছে সন্দিপ লামিচানের। বাংলাদেশে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলে ক্যারিয়ারে গোড়াপত্তন করেন তিনি।

নেপাল সেবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের। সেই নেপালের এখন ওয়ানডে স্ট্যাটাস আছে।

ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেয়েই তৃপ্ত নন লামিচান, ‘আমাদের কিছু ক্রিকেটার আছে যারা ভালো করতে পারে। তবে বোর্ড থেকে আমরা তেমন সাহায্য পাইনি, মানে আমাদের তেমন ক্রিকেট বোর্ড বলতে কিছু নেইও। তবু চেষ্টা চালিয়ে যাবো আমরা।’

যে দেশে ক্রিকেট অবকাঠামো বলতে তেমন কিছু নেই সেখানে লামিচান কীভাবে ভাবলেন যে ক্রিকেটার হবেন?

লামিচান বলেন, নিছক মজা থেকে, ৮-৯-১০ এমন বয়সে আমরা মানে আমার বন্ধু-ভাইদের সাথে রাস্তায় ক্রিকেট খেলতাম, পাড়ায় বেশ নামডাক ছিল। তখন ভাবিনি যে এতোদূর আসবো, কিন্তু আস্তে আস্তে সামনে এগুতে থাকি।

নেপালি ক্রিকেটের রূপকথার মতো এগুতে থাকা সন্দিপ লামিচানের পেছনে মূলত তদবির করেছেন সাবেক দুই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক ও রিকি পন্টিং।

হংকংয়ে একটি টুর্নামেন্ট চলাকালীন ক্লার্কের নজরে পড়েন লামিচান। ২০১৬ সালের ১৬ বছর বয়সী লেগ স্পিনারকে সিডনি গ্রেড ক্রিকেটে তুলে আনেন ক্লার্ক।

এরপর সেখান থেকে রিকি পন্টিং তাকে নিয়ে নেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল দিল্লী ডেয়ার ডেভিলসে নিয়ে আসেন। যেখানে শুরু হয় সন্দিপের স্বপ্নযাত্রা।

দিল্লী ডেয়ার ডেভিলসে ডাক পাওয়ার পর লামিচান বলেন, ‘আমি তখন দুবাইয়ে ছিলাম, একটা ক্যাম্প চলছিলো, নিশ্চিতভাবেই আমি ফোন ব্যবহার করতে পারিনি, কিন্তু টিম ম্যানেজার হঠাৎ এসে জানালেন আমাকে আইপিএলে ডাকা হয়েছে, আমার জন্য সেটা অনেক বড় মুহূর্ত। আমি নিশ্চিত নেপালের ক্রিকেটের জন্যও।’

নেপালের ক্রিকেটের সার্বিক উন্নয়ন চাওয়া লামিচানের, যেখানে একটি যথাযথ স্টেডিয়ামও নেই। নেপালের ক্রিকেট খেলার বড় জায়গা বলতে ত্রিভূবন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি