লংকান জয় সহজ হচ্ছে না আফগানদের
প্রকাশিত : ২২:৪৬, ৪ জুন ২০১৯ | আপডেট: ০৯:৪৪, ৫ জুন ২০১৯
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল (ডকওয়ার্থ লুইস) পদ্ধতিতে জয়ের জন্য ৪১ ওভারে ১৮৭ রানের লক্ষ্য পেয়েছে আফগানরা। যদিও শ্রীলংকা ৩৭ ওভারে ২০১ রান করে অলআউট হয়েছে। খেলার মাঝপথে বৃষ্টি হওয়ায় এসবই হয়েছে ডিএল (ডকওয়ার্থ লুইস) পদ্ধতির ক্যলাণে।
বৃষ্টিতে যখন খেলা বন্ধ হয়, তখন লংকানদের সম্পদ (উইকেট কম ওভার বেশি) কম থাকায় স্কোর সমন্বয় করে লক্ষ্য নির্ধারণের সময় মূল রান থেকে কমানো হয়। তাই হয়েছে লংকানদের বেলায়।
বৃষ্টি বাধায় যখন ম্যাচ বন্ধ হয়, তখন পর্যন্ত শ্রীলংকার সংগ্রহ ছিল ৩৩ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৮২ রান। বৃষ্টি শেষে ৪১ ওভারের ম্যাচ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু লংকানরা ৩৭ ওভারে ২০১ রান করে অলআউট হয়। ডিএল পদ্ধতিতে যখন আফগানদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়, তখন ১৪ রান কমিয়ে ১৮৭রান করা হয়।
তবে ৪১ ওভারে ১৮৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সহজ হচ্ছে না যাত্রা। তারা ১৪ ওভার শেষে হারিয়ে বসেছে ৫ উইকেট। বিনিময়ে সংগ্রহ করেছে ৬০ রান।
প্রথম দিকে যাত্রা ভালোই করেছিল আফগানরা। ৪.৪ ওভারে সংগ্রহ করেছিলো ৩৪ রান। কিন্তু মালিঙ্গার করা দলীয় ৫ম ওভার থেকেই বিপদ ঝেঁকে ধরে তাদের। মোহাম্মদ শাহাজাদ ক্যাচ তুলে দিলে আফগান শিবিরে বিপর্যয় শুরু হয়। এর পর একে একে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন রহমত শাহ, হযরুতুল্লাহ জাজাই, হাসমতউল্লাহ শাহিদী, মোহাম্মদ নবী।
এর আগে শুরুটা যতটা ভালো করেছিল শ্রীলংকা। মোহাম্মাদ নবির বোলিং তোপে তা ধরে রাখতে পারেনি ম্যাথিউসরা।
ইংল্যান্ডের কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ সূচনা করে শ্রীলংকার দুই ওপেনার। কুশাল পেরেরা ৮১ বলে ৭১ আর ডিমুথ কারুনারাত্নে ৪৫ বলে ৩০ রান করেন। বাকিরা আফগান বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি।
আফগানিস্তানের পক্ষে মোহাম্মাদ নবী ৯ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া, দোউলত জাদরান ও হামিদ হাসান এবং রশিদ খান একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এবারের বিশ্বকাপে দুই দলই হেরেছে নিজ নিজ প্রথম ম্যাচ। তাই তাদের লক্ষ্যটা অভিন্ন, চাই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়।