ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪

অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচে যত রেকর্ড

প্রকাশিত : ১৬:১৬, ২১ জুন ২০১৯

পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার কাছে নিজেদের সামর্থের পরিচয়টা ঠিকঠাকমত দিয়েছে টাইগাররা। তবে শেষ লড়াইটা করেও জয় না পাওয়ার আক্ষেপটা রয়েই গেল মাশরাফিদের।

বিশ্বকাপের এ আসরে আগের ম্যাচগুলোতে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের যে রানের খরা ছিল, ট্রেন্টব্রিজে অজিদের বিপক্ষে নেমে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মুশফিক-মাহমুদুল্লাহরা। যদিও সে ম্যাচে হেরেছে তারা।

তবে শেষ হয়ে যায়নি শেষ চারে উঠার লড়াই। বাংলাদেশের সামনে এখনো সে সুযোগ রয়েছে। তবে জিততে হবে বাকি সব ম্যাচে।

বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের ২৫ তম ম্যাচে আসরের সবচেয়ে বেশি রানের ম্যাচ ছিল এটি। নিজেদের সর্বোচ্চ রানের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইনিংস।

টাইগারদের বোলিং ব্যর্থতায় ওই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ফিন্সরা ৩৮১ রানের পাহাড় দাঁড় করিয়ে দেয় টাইগারদের সামনে।

জবাবে শুরুটা ভাল করতে না পারলেও, সাকিব-তামিম এবং মুশফিক- মাহমুদুল্লাহর রেকর্ড সংখ্যক পার্টনারশিপে ভর করে লড়াইটা ভালই করেছিল। তবে সেটা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেননি তারা। মাত্র ৪৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।

তবে অস্ট্রেলিয়া- বাংলাদেশ ম্যাচটি বিশ্বকাপের মঞ্চে ইতিহাস পাল্টে দেয়ার মতো রেকর্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এক নজরে সে সংখ্যা তথ্য দেখে নেওয়া যাক-

এক. উদ্বোধনী জুটিতে ফিন্স-ওয়ার্নারের ১২১ আর দ্বিতীয় উইকেটে ওয়ার্নার-খাজার ১৯২। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রথম দুটি জুটিতে শতরানের দেখা পেল অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে একই ঘটনার শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ।

দুই. বিশ্বকাপে দুটি দেড়শোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলার যোগ্যতা একমাত্র ওয়ার্নারই। গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬৬ আর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনি করেছিলেন ১৭৮ রান। যা আর কারো নেই।

তিন. ২০১৯ সালে খেলা ১২টি ওয়ানডের মধ্যে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মত প্রথম ১৫ ওভারে প্রতিপক্ষের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ।

অন্য চার ম্যাচের দুটিতে প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড, একটি করে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

চার. অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে ৯ ইনিংসে ২৪ ওভার বল করেছিলেন সৌম্য। উইকেট পেয়েছিলেন মাত্র একটি, গত বছর এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে। গতকালের তিনটি মিলিয়ে উইকেট এখন চারটি। 

পাঁচ. ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিটি তার ক্যারিয়ারের ১৬তম। এজন্য খেলতে হয়েছে ১১০ ইনিংস। ১৬ সেঞ্চুরিতে সমানসংখ্যক ইনিংস খেলতে হয়েছে বিরাট কোহলিকেও। একমাত্র হাশিম আমলাই এর চেয়ে কম ইনিংসে (৯৪) ১৬ সেঞ্চুরি করেছিলেন।

ছয়. সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপের এ আসরে ৪০০ রান পূর্ণ করলেন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার যিনি বিশ্বকাপের এক আসরে ৪০০ রান করলেন।

সাত. মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ গতকালের আগে ফিফটি করেছিলেন গত বছর এশিয়া কাপে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এরপরে টানা ১৪ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস খেলতে পারেননি। সে খরা কাটালেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

আট. শেষ পনেরো ওভারে ১৭৩ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া, যা এবারের আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ১৫ ওভারে ১৯৮ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড।

নয়. রুবেল হোসেনের করা ইনিংসে ৪৬ তম ওভার থেকে ২৪ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া, যা এবারের আসরে সবচেয়ে খরুচে ওভার। আসরে খরুচে ছিল উইন্ডিজের বিপক্ষে লিটন দাসের ৩ ছক্কাতে বাংলাদেশের তোলা ২৪ রান।

দশ. বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি এখন ৫টি। ২০১৫ বিশ্বকাপে মাহমুদুল্লাহ এবং ২০১৯ বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান দুটি করে সেঞ্চুরি করেন। মুশফিকের সেঞ্চুরিটি পঞ্চম এবং ক্রিকেটার হিসেবে তৃতীয়। আর অজিদের বিপক্ষে প্রথম।

আই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি