ঢাকা, রবিবার   ১৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আফগানিস্তান আতঙ্কে পাকিস্তান

প্রকাশিত : ১৪:৪৬, ২৯ জুন ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

সেমিফাইনালের আশা জিয়ে রাখা পাকিস্তান আজ আসর থেকে বিদায় নেয়া আফগানদের মুখোমুখি হচ্ছে। হেডিংলিতে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হবে।

তবে মাঠে নামার আগে আফগানিস্তানকে নিয়ে কিছুটা আতঙ্কে সরফরাজরা। কেননা, বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে স্পিন আর মুজিবের পেস আক্রমণে তাদের কাছে হেরেছিল হাফিজরা।

তাছাড়া, বিশ্বকাপের এ আসরে এখন পর্যন্ত কোন দলই তাদের বিরুদ্ধে তেমন বড় স্কোর দাঁড় করাতে পারেন। সবশেষ ভারতের তো বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল গুলবাদিনরা।

মুজিবুর রহমানে পেস আক্রমণ আর রশিদ-নবীদের স্পিন ঘূর্ণিতে ২২৪ রানেই আটকে গিয়েছিল ধোনিরা। যদিও ব্যাটিং ব্যার্থতায় জয়ের বন্দরে গিয়েও তরি ডুবেছে নবীদের।

তাই আজকের ম্যাচ নিয়ে সরফরাজ শিবিরে রয়েছে কিছুটা চাপা আতঙ্ক। অধিনায়ক সরফরাজও অবশ্য সে কথা স্বীকার করেছেন।

বলেছেন, তারা কোন জয় না পেলেও অনেক ভাল ক্রিকেট খেলেছে। তাদের স্পিন ও পেস অনেক শক্তিশালী। যেকোন সময় বড় আঘাত হানতে পারে। তাদের সহজভাবে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই আমরা পূর্ণ শক্তি দিয়েই লড়বো।

সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে বাকি দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই সরফরাজদের। প্রথমটি আজ আর ৫ জুলাই লড়তে হবে বাংলাদেশের সঙ্গে। ফলে সহজ হবেনা তাদের যাত্রা, তা বলাই যায়।

বিপরীতে আফগানিস্তান চাইছে দক্ষিণ আফ্রিকার মত শেষটা রাঙ্গাতে। যদিও বিশ্বকাপে খেলার চূড়ান্ত টিকিট পাওয়াই ছিল গুলবাদিনদের জন্য বড় পাওয়া। আর একটি জয় হলে তো সোনায় পোয়াবারো।

পাকিস্তানের মূল আক্রমণ ভাগ দুই পেসার ওয়াহাব রিয়াজ আর মোহাম্মাদ আমির। সঙ্গে আছেন গত ম্যাচে কিউইদের ধস নামোনো শাহিন শাহ আফ্রিদি। ফলে তারা অনেকটা এগিয়ে থাকবে।

অন্যদিকে, আফগানদের প্রধান ভরসা স্পিন। রশীদ খান আর মোহাম্মাদ নবীর স্পিন ঘূর্ণিতে যেকোন সময় ম্যাচের পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে। সে আশঙ্কাই সরফরাজদের।

পাকিস্তানের স্বস্তি, দলটির সঙ্গে আগের তিনবারের দেখায় তিনটিতেই জয়ের প্রাপ্তি। এছাড়া, গত দুই ম্যাচে টানা জয় পেয়েছে তারা। স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও আসরের অন্যতম দাবিদার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এ জয়ের ফলে মানসিকভাবে স্বস্তিতে থাকলেও সেমির ট্রেনে উঠতে অনেকটা চাপে রয়েছে তারা।

ব্যাটিংয়েও আনা হয়েছে পরিবর্তন। সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিককে বসিয়ে নেয়া হয়েছে হারিস সোহেলকে। ইতোমধ্যে তার প্রমাণও দিয়েছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ৮৯ আর পরের ম্যাচে ৬৪ রান করেন এ ব্যাটসম্যান। আর বাবর আজম যদি তার ফর্ম ধরে রাখতে পারেন, তাহলে হয়তো এ যাত্রায় আফগান ভীতি থেকে বেঁচে যেতে পারে সরফরাজবাহিনী।

হেডিংলির আকাশ একদম শুষ্ক। বৃষ্টির কোনই সম্ভাবনা নেই। ফলে যে আগে টস জিতবে, সে চাইবে ব্যাটিং নিতে। কেননা, এ মাঠের ইতিহাস বলে আগে ব্যাটিংকারী সুবিধা পেয়েছে বেশি।

প্রস্তুতি ম্যাচে এ মাঠেই পাকিস্তান বধ করেছিল আফগানরা। ফলে, বেশ দেখে শুনেই খেলতে হবে ইমরান খানের শীষ্যদের।

ভাবনা একটাই, গত কয়েক ম্যাচে স্পিন ঘূর্ণিতে প্রতিপক্ষের টপঅর্ডারদের যেভাবে কাবু করেছে আফগানিস্তান স্পিন, আজও যে তার পুনরাবৃত্তি হবেনা তা কে জানে?

তাই বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমিরা চাইছেন শেষ মূহুর্তে এসে আফগান স্পিনে বাধা পড়ুক পাকিস্তান। বাকিটা মাঠে গড়ার অপেক্ষায়।  

আই/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি