ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ইংল্যান্ড নাকি নিউজিল্যান্ড, উভয়েরই লক্ষ্য ‘প্রথম’

প্রকাশিত : ২৩:৫৩, ১৩ জুলাই ২০১৯

ইংল্যান্ড নাকি নিউজিল্যান্ড, কে হবেন নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন? এর উত্তর জানা যাবে কয়েকঘন্টা পরই। তবে তার আগে উভয়েরই লক্ষ্য ‘প্রথমবার’ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়। সে লক্ষ্যেই প্রস্তুত হয়ে মাঠে নামছে দু`দল।

রোববার দ্বাদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বহুকাংক্ষিত সেই ফাইনাল। যেখানে লড়বে স্বাগতিক ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। দু’দলের কেউই আগে কখনো বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়নি। তিনবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপার স্বাদ নিতে পারেনি ইংলিশরা। আর গেল আসরে প্রথমবার ফাইনালে উঠলেও, রানার্স-আপ হয়েই সন্তুস্ট হয়ে থাকতে হয় নিউজিল্যান্ডকে।
তাই ‘প্রথমবারের’ মত বিশ্বকাপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়ার সুবর্ণ সুযোগ ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড দুই দলের সামনেই। ক্রিকেটের মক্কাখ্যাত স্টেডিয়াম লর্ডসে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট-বল হাতে লড়তে নামবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। লর্ডসে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে।

দশটি দেশকে নিয়ে গেল ৩০ মে লন্ডনের কেনিংটন ওভালে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা ওঠে দ্বাদশ বিশ্বকাপের। লিগ পর্বে প্রত্যকটি দল একে অপরের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়। লিগ পর্বের মোট ৪৫টি ম্যাচ শেষে সেরা চার দল জায়গা করে নেয় সেমিফাইনালে। দলগুলো হলো- ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সেমিফাইনালের ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে ১৮ রানে হারায় নিউজিল্যান্ড এবং দ্বিতীয় সেমিতে ৮ উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারায় ইংল্যান্ড। ম্যানচেষ্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে প্রথম সেমিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। ৪৬ দশমিক ১ ওভারে ৫ উইকেটে ২১১ রান তুলে চাপে ছিলো নিউজিল্যান্ড। এরপর বৃষ্টির কারনে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। পরবর্তীতে আর খেলা শুরু না হলে, রিজার্ভ’ডেতে গড়া ম্যাচটি।

দ্বিতীয় দিন ভারতীয় বোলারদের নৈপুন্যে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি কিউইরা। জবাবে ব্যাট হাতে নেমে মহা বিপদে পড়ে ভারত। ৫ রানে ৩ উইকেট, ৯২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এতে ম্যাচ জয় সময়ের ব্যাপার ছিলো নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাটিং দৃঢ়তায় লড়াইয়ে ফিরে ভারত। কিন্তু শেষদিকে, জাদেজা ৫৯ বলে ৭৭ ও ধোনি ৭২ বলে ৫০ রান করে ফিরে গেলে জয়ের স্বাদ পায় নিউজিল্যান্ড।

দ্বিতীয় সেমিতে বার্মিংহামের এডজবাস্টনে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় অস্ট্রেলিয়া। শুরু থেকেই ইংল্যান্ড বোলারদের তোপে পড়ে অসিরা। ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। শুরুর ধাক্কাটা পরবর্তীতে সামাল দিলেও, শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভারে ২২৩ রানে গুটিয়ে যায় অসিরা। অস্ট্রেলিয়ার ২২৪ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে কোনরকম হিমশিম খেতে হয়নি ইংল্যান্ডকে। ওপেনার জেসন রয়ের ৬৫ বলে ৮৫ রান ইংলিশদের জয় সহজ করে। ফলে সেমির ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লড়াইয়ের টিকিট পায় ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।

এই নিয়ে চতুর্থবারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড। ১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২ সালেসহ তিনবারই হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইংলিশদের। তিনটি ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়ে সন্তুস্ট থাকতে হয় ইংলিদের। এরপর আর কোন আসরের ফাইনালে উঠতে পারেনি ইংলিশরা। এর ২৭ বছর পর আবারো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো ইয়ন মরগানের দল। এবার যেকোন প্রকারে শিরেপার স্বাদ নিতে উদগ্রীব মরগানের দলটি। অবশ্য অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল স্বাগতিকরা।

গত আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিলো ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হযেছিলো ইংলিশদের। ঐ বিদায়ের পর থেকে ক্রিকেট অঙ্গনে নিজেদের নতুনভাবে চেনাতে থাকে তারা। দুর্দান্ত ক্রিকেট নৈপুন্য প্রদর্শন করে আইসিসি র‌্যাংকিং উপরের তালিকায় উঠে আসে ইংল্যান্ড। এক পর্যায়ে র‌্যাংকিং-এর শীর্ষে ওঠেন মরগান-রুট-স্টোকসরা।

তারই ধারাবাহিকতায় চার বছর পরের আসরেরই ফাইনালে ২০১৫ সালে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়া ইংল্যান্ড। গেল চার বছরে ইংল্যান্ডের কতটা উন্নতি হয়েছে সেটাই সবাইকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন ইংলিশ ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগান।
সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারানোর পর মরগান বলেন, ‘এটা স্পষ্ট, গত চার বছরে আমরা কতদূর এসেছি। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার পর যদি কেউ আমাকে বলতো চার বছর পর ফাইনালে ওঠার কথা, তবে আমি তা বিশ্বাস করতাম না। কারণ ওই আসরে যেভাবে আমরা বাদ পড়েছি, তা ছিলো দুঃখজনক। তবে আমরা গেল চার বছর অনেক পরিশ্রম করেছি। সেই ফল আজ দেখা যাচ্ছে। বিশ্ব দেখছে আমরা এখন সেরার মুকুট পড়া থেকে একা ধাপ দূরে।’
ফাইনালে উঠার আনন্দ উচ্ছসিত হলেও, শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে ট্রফি জয়ের সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগাতে চান মরগান, ‘ফাইনালে উঠতে পেরে আমি সত্যিই উচ্ছসিত। লর্ডসের ফাইনালটা আমাদের জন্য বড় একটি সুযোগ। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে এবং সেরা সাফল্য দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করতে হবে।’

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হয়েছিলো ইংল্যান্ডের। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে হোচট খেলেও, এরপর হ্যাট্টিক জয়ের স্বাদ নেয় ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ-আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পায় তারা। হ্যাট্টিক জয়ের পর টানা দু’ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালে উঠার পথ কঠিন হয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার। তবে লিগ পর্বে শেষ দুই ম্যাচে ভারত-নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড। ৯ খেলায় ৬ জয়, ৩ হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে থেকে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করে মরগানরা।

ইংল্যান্ড চতুর্থবারের মত সেমিফাইনালে উঠলেও, দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো নিউজিল্যান্ড। তাও টানা দ্বিতীয়বারের মত। গেল আসরের ফাইনালে উঠেও রানার্স-আপ হয়ে বিশ্বকাপ শেষ করতে হয়েছিলো নিউজিল্যান্ডকে। মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭ উইকেটে হারে তারা। গেল আসরের আগে ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭ ও ২০১১ পাঁচবার সেমিফাইনালে উঠেছিলো নিউজিল্যান্ড। কিন্তু কোন আসরেই সেমির বাধাঁ টপকাতে পারেনি কিউইরা।
এবারও সেমির বাধাঁ টপকাতে বড় প্রতিপক্ষের সামনে পড়েছিলো নিউজিল্যান্ড। লিগ পর্বের সেরা দল ভারত ছিলো শেষ চারে নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ। বৃষ্টিতে গড়ানো দু’দিনের সেই সেমিতে বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে ১৮ রানে জয় পেতে বিশ্বকে চমকে দেয় কেন উইলিয়ামসনের দল। লিগ পর্বে ৯ খেলায় ১৫ পয়েন্ট নিয়ে সেরা দল হয়েছিলো ভারত। আর নিউজিল্যান্ড ছিলো চতুর্থস্থানে। ৯ খেলায় ৫ জয় ৩ হার ও ১টি পরিত্যক্ত ম্যাচের ফলে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থান থাকে কিউইরা।

বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিলো নিউজিল্যান্ড। শ্রীলংকার বিপক্ষে ১০ উইকেটের জয় পায় তারা। শুভ সূচনার পর টানা দু’জয় তুলে নেয় কিউইরা। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারনে পরিত্যক্ত হলেও, পরের দু’ম্যাচ জিততে বেগ পেতে হয়নি নিউজিল্যান্ডের। ফলে তাই প্রথম ছয় ম্যাচ থেকে পাঁচ জয়ের ১০ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে খুব কাছে পৌছে যায় উইলিয়ামসন-বোল্টরা। কিন্তু লিগ পর্বে নিজেদের শেষ তিন ম্যাচেই হেরে সেমির পথ কঠিন করে ফেলে নিউজিল্যান্ড। ফলে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ম্যাচের ফলাফলের দিকে চেয়ে থাকতে হয় কিউইদের। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান জিতলে নিউজিল্যান্ডের সমান ১১ করে পয়েন্ট হয়। তবে রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠে নিউজিল্যান্ড।

সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে নেমে অসাধারন এক জয় তুলে নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত ফাইনালে উঠে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা জয়ের সুযোগ তৈরি হওয়ায় দলের খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তবে গেলবার না পারলেও, এবার শিরোপা জিততে বদ্ধ পরিকর কিউই অধিনায়ক, ‘আবারো আমাদের সামনে বিশ্ব মঞ্চে সেরা হবার সুযোগ এসেছে। গেল আসরে আমরা সুযোগ হাতছাড়া করেছিলাম। এবার আর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না। দলের সবাই শিরোপা জিততে মুখিয়ে আছে। আমি মনে করি, আমরা সেরাটা দিতে পারলে এবারের শিরোপা আমাদেরই হবে।’

এবারের আসরে লিগ পর্বে চেষ্টার-লি-স্ট্রিটে মুখোমুখি হয়েছিলো ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। ঐ ম্যাচে ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি কিউইরা। ১১৯ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় ইংলিশরা। ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯৯ বলে ১০৬ রান করেন বেয়ারস্টো।

জবাবে ৪৫ ওভারে ১৮৬ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস খেলতে দেয়নি। ইংল্যান্ডের পেসার মার্ক উড ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন। তবে এই জয় কোন কাজে আসবেনা ইংল্যান্ডের জন্য। কারণ এবার বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়তে হবে ইংলিশদের। সেই মঞ্চের আবহ বেশ ভালোই জানে নিউজিল্যান্ড। চার বছর পেরিয়ে গেলেও আসরের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা বেশ রয়েছে তাদের। এক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে ইংল্যান্ড।

ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা বেশি হলেও, সেই অভিজ্ঞতাও জং ধরে গিয়েছে। ২৭ বছর আগে খেলা সেই ফাইনাল, আর এই যুগের ফাইনাল খেলার মধ্যে পার্থক্য আকাশ পাতাল। তবে নিজেদের কন্ডিশনের সুবিধা সাথে থাকায় এক শতাংশ হলেও শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়ার লড়াইয়ে এগিয়ে ইংল্যান্ড। অর্থাৎ ফাইনাল জয়ের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের সম্ভাবনা ৫১ শতাংশ, নিউজিল্যান্ডের ৪৯ শতাংশ।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৯০টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। এরমধ্যে নিউজিল্যান্ড ৪৩টিতে, ইংল্যান্ড ৪১টিতে জয় পায়। ২টি টাই ও ৪টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

ইংল্যান্ড একাদশ:
জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, ইয়ন মরগান (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, জস বাটলার, ক্রিস ওকস, লিয়াম প্লাংকেট, আদিল রশিদ, জোফরা আর্চার ও মার্ক উড।

নিউজিল্যান্ড একাদশ:
মার্টিন গাপটিল, হেনরি নিকোলস, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), রস টেইলর, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, জেমস নিশাম, টম লাথাম, মিচেল স্যান্টনার, লোকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি ও ট্রেন্ট বোল্ট।

এনএস/আরকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি