ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নিউজিল্যান্ডের পরাজয়ের কারণ জানালেন লারা

প্রকাশিত : ১৫:২৯, ১৫ জুলাই ২০১৯

শিরোপার লড়াইয়ে নিজেদের পারফর্মেন্সের পাশাপাশি কিউইদের ভাগ্যটাও যে তাদের পক্ষে ছিল না, তা ম্যাচের শেষ ওভার ও সুপার ওভারের খেলা থেকেই স্পষ্ট হয়।

ফলে জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসেও বড় কোনো ভুলের জন্য নয়, ভাগ্য আর আইসিসির নিয়মের কাছে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। ফলে, শিরোপা জয়ের অপেক্ষা বাড়লো আরও ৪ বছর।

আসরের শুরু থেকেই দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক উলিয়ামসন। এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অধিনায়কের এমন সিদ্ধান্তে অনেকে প্রশ্ন ‍তুলেছেন, কেন ব্যাটিং নেয়া হলো। এমনকি এ নিয়ে অনেকে তার কঠোর সমালোচনাও করেছেন।

সবাই যখন তার উপর এমন ক্ষোভ ঝারছেন, তখন উইলিয়ামসনের পাশে দাঁড়ালেন ক্যারিবিয়ন কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা।

তিনি বলেছেন, উইলিয়ামসন সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। তার জায়গায় আমি হলেও এ সিদ্ধান্তই নিতাম। এখানে যে আগে ব্যাট করে সে যতোটা সুবিধা পায়, পরে তা হয়ে ওঠেনা। কেননা, লর্ডসের উইকেট দ্বিতীয় ইনিংসে বদলায়।

লর্ডসের মাঠ ঢালু। এ ধরনের পিচে কোন কথা ছাড়াই আগে ব্যাট করাই উত্তম। কারণ, পরের ইনিংসে বল কিরুপ নেয় তা বুঝে উঠা মুশকিল।

তবে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে খুশি হতে পারেননি ক্যারিবিয়ান এ কিংবদন্তি। বলেন, ৫০ ওভারে ২৪১ রান নিশ্চয় যথেষ্ট নয়। এ রান তাড়া করা যেকোনো দলের খুব বেশি বেগ পেতে হতোনা। সেখানে স্বাগতিকদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরও সহজ বিষয়।

লারা বলেন, মার্টিন গাপটিল ছন্দে না থাকায় নিউজিল্যান্ডকে হারতে হয়েছে। এদিন শুরুতে তাকে ছন্দে দেখা গেলেও, ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি।

এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে গাপটিল রিভিউও নষ্ট করে। যার ফল ভোগ করতে হয় রস টেলরকে।

তিনি বলেন, জয়ের জন্য বড় পার্টনারশিপ দরকার। যেটা গতকালকের ম্যাচে কেউই করতে পারেননি। গাপটিলের দায়িত্বশীল ব্যাটিং খুব প্রয়োজন ছিল। গত বিশ্বকাপে যে ছন্দে থেকে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন তিনি, তার কোনটাই এবারের আসরে দিতে পারেননি গাপটিল।

ফলে আসরের শুরু থেকে দলের হাল ধরতে হয়েছে অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে। কিন্তু তিনি আজ দাঁড়াতে না পাড়ায়, শিরোপা হারাতে হলো নিউজিল্যান্ডকে-যোগ করেন লারা।

আই /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি