ঢাকা, শুক্রবার   ১১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নির্মম ফাইনালে হেরে একী বললেন কিউই তারকা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩৩, ১৫ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১৮:৪২, ১৫ জুলাই ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

বিশ্ব ক্রিকেটের সুদীর্ঘ ইতিহাসে যে ঘটনা কখনও ঘটেনি, রোববার তা-ই ঘটল লর্ডসে। বিশ্বকাপের ফাইনালে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা শ্বাস রুদ্ধকর ম্যাচে অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল লর্ডস। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে লর্ডসে বিজয়ী হয়েই মাঠ ছাড়ল ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। তবে চ্যাম্পিয়ন হয়েও রয়ে গেল একটি প্রশ্ন।

কী বলা যায় বিশ্বকাপের এমন ফাইনালকে? রোমাঞ্চকর নাকি ভয়াবহ! মূল ম্যাচ ড্রয়ের পরে সুপার ওভারও ড্র! এরপর ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ হয় বাউন্ডারিতে! এমনই এক ফাইনাল দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। 

এদিকে ম্যাচ শেষে একদিকে যেমন চলছে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের বিজয় উৎসব। তেমনি অন্যদিকে চলছে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের হতাশামাখা কান্না। মাঠেই ভেজা চোখে বসে পড়েন দুঃখ ভারাক্রান্ত কিউইরা। সতীর্থরাই একে অন্যকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। কিন্তু কোনো সান্ত্বনাই যে মনের সে ক্ষত সারাতে পারে না। এক পর্যায়ে ইংলিশ অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস এসে সান্ত্বনা দেন হারের বেদনায় পুড়তে থাকা গাপটিলকে। কিন্তু সেটাও যেন মনে হলো- কাঁটা ঘা'য়ে নুনের ছিটার মত! 

এমনই যন্ত্রণাকাতর ক্ষত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মধ্যম টুইটারে এক বার্তা দিয়েছেন কিউই অলরাউন্ডার জেমস নিশাম। রাগে ক্ষোভে তিনি ক্রিকেট খেলতেই না করেন পরবর্তী প্রজন্মকে। টুইটারে কিউই তারকা লেখেন, ‘বাচ্চারা, খেলাধুলা করো না। তার চেয়ে বরং বেকিং বা অন্যকিছু করো। তাতে ৬০ বছর বয়সে মোটাসোটা হয়ে এবং হাসিখুশিভাবে মরতে পারবে।’

কেন নিশাম এমনটা বলেছেন, তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। এমন ফাইনালের পর ক্রিকেট তথা খেলাধুলার প্রতি একেবারেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন কিউই অলরাউন্ডার। যার প্রেক্ষিতেই পরবর্তী প্রজন্মকে খেলাধুলা থেকে বিরত থাকতে বলেন তিনি।

রোববার লর্ডসের ওই ফাইনালে আগে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে ২৪১ রান সংগ্রহে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কিউই পেসারদের কারিশমায় ইংলিশরাও গুটিয়ে যায় ২৪১ রানে। ফলে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনাল গড়ায় সুপার ওভারে। টান টান উত্তেজনা! শ্বাসরুদ্ধকর সুপার ওভারে ১৫ রান করে ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডও করে ঠিক ১৫ রান!

এর ফলে সুপার ওভারেও ম্যাচের রেজাল্ট না হওয়ায় আইসিসির নিয়মে হিসেবে আসে বাউন্ডারি। ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোর সুবাদে জয়ী হয় ইংল্যান্ড। এ যেন রূপকথাকেও হার মানানো অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়, অবর্ণনীয় এক নির্মম ফাইনাল! 

এনএস/এসি

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি