আরও একবার আফসোসে পুড়লেন মুশফিক
প্রকাশিত : ২০:৪৬, ২৮ জুলাই ২০১৯
ফলাফল যা-ই হোক, ম্যাচটা যে বড় আফসোস হয়ে থাকবে মুশফিকুর রহিমের জন্য, তা কে জানতো? কেউ জানুক আর না-ই জানুক ঘটনা কিন্তু তা-ই ঘটেছে। ব্যাটিং বিপর্যয়ে কী দুর্দান্ত লড়াইটাই না করলেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকলেন অপরাজিত। তবুও আফসোস একটাই, মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি করা হলো না মুশির।
প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও সেই একই দৃশ্য, একই সমস্যা। ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার। এ ম্যাচেও ব্যর্থ তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার। তিনে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও হতে পারেননি সাকিবের বিকল্প। নিস্প্রভ মিডল অর্ডার।
ফলশ্রুতিতে প্রেমাদাসায় সিরিজ বাঁচানোর এ ম্যাচে বাংলাদেশ ভালো স্কোর পাবে কী করে! তবে কিছুই না হওয়ার দিনে আবারও দেখা মিলল সেই লড়াকু মুশফিকের। তাঁর অপরাজিত ৯৮ রানে ভর করেই ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৮ রান করেছে বাংলাদেশ!
দলের ৩১ রানের মধ্যে তামিম–সৌম্য ফিরে যাওয়ার পর একে একে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমান। সেই মিছিলে যোগ দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেনও। ফলে ১১৭ রান তুলতেই নেই ৬ উইকেট!
বাংলাদেশের দুইশ করা যখন টানাটানি, তখন সপ্তম উইকেটে মিরাজকে নিয়ে কিছুটা লড়াই চালিয়েছেন মুশফিক। দুজনের যোগ করা ৮৪ রান যা একটু সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে গেছে বাংলাদেশের স্কোর। স্কোরটা আরও বড় হতো, যদি প্রদীপের বলে ভুল শট না খেলতেন মিরাজ। তবুও মূল্যবান ৪৩ রান করে গেছেন মিরাজ। যার ধারে কাছেও যেতে পারেননি দলের বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানরাও।
এর পরের গল্পটা শুধুই মুশফিকময়। আগের ম্যাচে ৬৭ রান করা মি. ডিপেন্ডেবল এ ম্যাচেও দলের বিপর্যয়ে লড়েছেন বুক চিতিয়ে। একটা সময় দলের স্কোরের চেয়ে সবার কাছে যেন বেশি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াল মুশির সেঞ্চুরি। তিন অঙ্ক ছুঁতে শেষ ওভারে মুশফিকের দরকার ছিল ৫ রান। কিন্তু মুস্তাফিজের কারণে মুশফিক নিতে পারলেন ৩ রান। অপরাজিত রইলেন ৯৮ রানে।
গত বছর এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন টাইগার এই রান মেশিন। আর রোববার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খুব কাছে গিয়েও মিলল না অষ্টম সেঞ্চুরি!
তবুও বাংলাদেশ যে ২৩৮ রানের স্কোর পেয়েছে, তাতে সবচেয়ে বড় কৃতিত্বটা তো মুশফিকেরই। সেইসঙ্গে এই ম্যাচেই গড়েছেন তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ছয় হাজার রান স্পর্শ করার অনন্য কীর্তি। ২১৫ ম্যাচ খেলে এখন তার রান ৬০৯০। সেঞ্চুরি সাতটি।
এনএস/আরকে