বাংলাদেশের সফল কোচ কে?
প্রকাশিত : ১৫:২১, ১৮ আগস্ট ২০১৯
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল শনিবার রাসেল ডোমিঙ্গোকেই হেড কোচ হিসেবে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী বুধবার বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন এই প্রোটিয়া। আগামী ২ বছর তার হাতেই থাকছে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব।
এর আগে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান গর্ডন গ্রিনিজ। আর তার অধীনেই ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জিতে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। সেই বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর দিনটিই বাংলাদেশের কোচ হিসেবে গ্রিনিজের শেষ দিন।
এ পর্যন্ত রাসেল ডমিঙ্গোকে নিয়ে বাংলাদেশ বিদেশি কোচের সংখ্যাটা দাঁড়ালো ১২জনে। এখন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশের বিদেশি কোচদের সাফল্য-ব্যর্থতা। তবে অন্তর্বর্তীকালীন কোচদের হিসাব এখানে নেই।
সংখ্যার দিক থেকে এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি কোচ এনেছে বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুজন করে আনা হয়েছে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান থেকে।
নভেম্বর ১৯৯৬- মে ১৯৯৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ ছিলেন গর্ডন গ্রিনিজ। তার সময়ে বাংলাদেশ ২৩টি ওয়ানড’র মধ্যে জয় পায় ৩টি, হার ২০টি। তার সময়ে আইসিসি ট্রফি জিতে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
আগস্ট ১৯৯৯-জানুয়ারি ২০০১ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ ছিলেন প্রোটিয়া ক্রিকেটার এডি বারলো। তার সময়ে বাংলাদেশ ১টি টেস্ট খেলে হেরেছিল। এছাড় ৬টি ওয়ানডেই হেরেছিল বাংলাদেশ।
এপ্রিল ২০০১-মার্চ ২০০২ পর্যন্ত কোচ ছিলেন অজি ক্রেকেটার ট্রেভর চ্যাপেল। তার সময়ে বাংলাদেশ ১০টি টেস্ট খেলে ১টি ড্র করেছে আর হেরেছে ৯টি। এছাড়া, ৯টি ওয়ানডের সবগুলোতেই হেরেছে বাংলাদেশ।
এপ্রিল ২০০২-মার্চ ২০০৩ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ ছিলেন পাকিস্তানের মহসিন কামাল ও আলী জিয়া। তাদের সময়ে ৬ টেস্টের সবগুলোতে হেরেছে বাংলাদেশ। আর ১৭টি ওয়ানডে’র মধ্যে ১৫টিতে হার, ২টিতে কোনও ফল হয়নি।
জুন ২০০৩-মে ২০০৭ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভ হোয়াটমোর। তার সময়ে ২৭ টেস্টে ১টিতে জয়, হার ২২টি, ড্র ১টিতে। আর ৮৯ ওয়ানডে’র মধ্যে ৩৩টিতে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ আর হার ৫৬টিতে। এছাড়া, ১টি টি-টোয়েন্টি খেলে সেটি জিতেছিল টাইগাররা।
অক্টোবর ২০০৭-এপ্রিল ২০১১ বাংলাদেশের কোচ ছিলেন অজি ক্রিকেটার জেমি সিডন্স। ওই সময়ে বাংলাদেশ ১৯টি টেস্ট খেলে ২টিতে জয় পেয়েছিল। আর ১৬টি হেরেছিল এবং ড্র করেছিল ১টি। এছাড়া, ৮৪ ওয়ানডে’র মধ্যে ৩১ টিতে জয় এবং হার ৫৩টিতে। আর ৮টি টি-টোয়েন্টির মধ্যে সবগুলোতেই হেরেছিল বাংলাদেশ।
জুলাই ২০১১-মে ২০১২ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ ছিলেন অজি ক্রিকেটার স্টুয়ার্ট ল। তার সময়ে ৫টি টেস্ট খেলে ১টি ড্র আর বাকিগুলো হেরেছিল বাংলাদেশ। আর ১৫টি ওয়ানডে’র মধ্যে ৫টিতে জয় পেলেও হেরেছে ১০টিতে। ২টি টি-টোয়েন্টি খেলে ১টিতে জয় আর হার ১টিতে।
মে ২০১২-অক্টোবর ২০১২ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ ছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটার রিচার্ড পাইবাস। তার সময়ে বাংলাদেশ ৮টি টি-টোয়েন্টি খেলে ৪টিতে জয় আর ৪টিতে হরেছে।
ফেব্রয়ারি ২০১৩-মে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ ছিলেন অজি ক্রিকেটার শেন জার্গেনসেন। তার সময়ে ৮ টেস্টে ১টি জয়, হার ৩টি আর ড্র ৪টি। এছাড়া ১৬টি ওয়ানডে’র মধ্যে ৫টিতে জয়, ১০টিতে হার আর ফল হয়নি ১টিতে। আর ১৩টি টি-টোয়েন্টির মধ্যে ৩টিতে জয় পেলেও হেরেছে ১০টিতে।
মে ২০১৪-নভেম্বর ২০১২ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ ছিলেন শ্রীলংকার চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার সময়ে বাংলাদেশ ২১টি টেস্ট খেলে জয় পেয়েছিল ৬টিতে। আর ১১টিতে হার ও ড্র ৪টিতে। এছাড়া, ৫২টি ওয়ানডের মধ্যে ২৫টিতে জয়, হার ২৩ এবং ফল হয়নি ৪টিতে। অন্যদিকে, ২৯টি টি-টোয়েন্টির মধ্যে ১০টিতে জয় পেয়েছে আর হেরেছে ১৭টিতে।
জুন ২০১৮-জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ ছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটার স্টিভ রোডস। তার সময়ে ৮টি টেস্টের মধ্যে ৩টিতে জয় পেয়েছে আর ৫টিতে হেরেছে। এছাড়া ৩০টি ওয়ানডে’র মধ্যে ১৭টিতে জিতেছে আর হেরেছে ১৩টিতে। আর ৭টি টি-টোয়েন্টির মধ্যে ৩টিতে জয় আর হার ৪টিতে।