ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ৩১ অক্টোবর ২০২৪

ডেঙ্গু আতঙ্কে বাফুফে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১০, ২২ আগস্ট ২০১৯

চারিদিকে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু এক আতঙ্কের নাম। হাতে পায়ে বা শরীরের কোনো অংশে কিছু কামড়ালেই মনে হচ্ছে এই মনে হয় ডেঙ্গু কামড়ালো। শরীর একটু গরম হলেই মনে হচ্ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছি। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে নানা কৌশল হাতে নিয়েছেন অনেকেই। কেউ বাইরেও কম বের হচ্ছেন, কেউ কেউ নিয়ম মেনে চলাফেরা করছেন। সবমিলিয়ে ডেঙ্গু নিয়ে আমরা ভয়াবহ এক সময় পার করছি। 

ডেঙ্গুর এই আতঙ্ক থেকে মুক্ত নয় ক্রীড়াঙ্গনও। আসন্ন সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ক্যাম্পে একাধিক ক্রীড়াবিদ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ধানমণ্ডি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে কাবাডি ও খোখো ডিসিপ্লিনের ১০ জন নারী ক্রীড়াবিদ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

এখন তারা সুস্থ। সম্প্রতি সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আবাসিক ক্যাম্পে থাকা কয়েকজন কিশোরী ফুটবলার। বাফুফে ভবনে দায়িত্ব পালনকারী পাঁচ নিরাপত্তা কর্মীও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

সরেজমিন বাফুফে ভবনে গিয়ে দেখা গেছে বাফুফে ভবনের নিচতলায় আবর্জনার স্তূপ। বৃষ্টি হলে সেখানে পানি জমে যায়। বাফুফের কৃত্রিম টার্ফেও বৃষ্টির পানি জমে থাকে। সেই টার্ফে বাফুফেতে থাকা নারী ফুটবলাররা অনুশীলন করেন।

এর ফলে তাদের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ক’মাস আগে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ফুটবলার সাজেদা এবং মারজিয়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল। এখন ওরা সুস্থ। বাফুফের ফিজিক্যাল ফিটনেস টেস্টে তারা পাস করেছে। তবে আরও তিন ফুটবলারের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘রাজিয়া ও নওশিন জাহান ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল। তারা এখন সুস্থ। তবে মুন্নী সম্ভবত বাফুফে ভবনে থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়।

তবে দু’দিন হল সে সুস্থ হয়েছে।’ ছোটন যোগ করেন, ‘আমরা বাফুফের ক্যাম্পে সচেতন ও সতর্ক থাকি। প্রতিদিন মশা মারার ওষুধ ছিটানো হয়, সবকিছু পরিষ্কার করা হয়, নিয়মিত মশারি টানানো হয়। সকাল থেকেই এসব কার্যক্রম শুরু হয়।’


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি