শুভ সূচনা করে লাঞ্চে বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ১৩:২১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
৩৯৮ রানের বিশাল পাহাড় টপকাতে নেমে শুরুটা ভালই করেছে বাংলাদেশ। লাঞ্চ ব্রেকে যাওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৯ ওভারে ৩০ রান সংগ্রহ করেছেন দুই ওপেনার। ২১ রান নিয়ে এক প্রান্তে আছেন সাদমান ইসলাম আর অপর প্রান্তে ৯ রান নিয়ে আছেন লিটন দাস।
প্রথম ইনিংসে পেস বোলিংকে গুরুত্ব দিলেও, স্পিন ভীতি কাজে লাগাতে শুরুতেই পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি স্পিনকে কাজে লাগাতে চাইছে আফগানিস্তান। তবে লাঞ্চের আগ পর্যন্ত সে চাপ সামলিয়েছে দুই ওপেনার।
এর আগে বৃষ্টি বাধায় ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট বিলম্বে শুরু হওয়া একমাত্র টেস্টের চতুর্থ দিনে ২৩ রান যোগ করে ২৬০ রানে গুটিয়ে যায় আফগানদের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে বাংলাদেশের সামনে আগের প্রথম ইনিংসের রান মিলে বাংলাদেশের সামনে ৩৯৮ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় আফগানরা।
এর আগে সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বল মাঠে গড়াতে বিলম্বর হয়। শেষ পর্যন্ত খেলা শুরু হয় ১১টা ৫০ মিনিটে।
খেলার তৃতীয় দিনে যে আশঙ্কা করেছিল টাইগাররা, সেটাই হয়েছে। বড় চ্যালেঞ্জ এখন তাদের সামনে। জয়ের জন্য বিশাল রান টপকাতে হবে তাদের। অসম্ভব নয়, তবে বেশ কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে সাকিব-মুশফিকদের।
দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ইব্রাহিম জাদরান ৮৭ (২০৮), আসগার আফগান ৫০ (১০৮) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান ৩টি আর তাইজুল, মেহেদি ও নাঈম দুটি করে উইকেট নেন।
চট্টগ্রামের এই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিগত ম্যাচগুলোর পরিসংখ্যান বলছে, চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে মাত্র ৩টি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ৩১৭ তাড়া করে। তার আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৮৭ রান তাড়া করে এবং ২০০৬ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা জিতেছিল ১৬৩ রান তাড়া করে।
তবে চট্টগ্রামের এই ভেন্যুতে বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত তাড়া করে জেতেনি কোনো ম্যাচেই। আফগানদের বিপক্ষে এই ম্যাচের আগে চট্টগ্রামে ৭ ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমেছিল বাংলাদেশ, এর মধ্যে ড্র হয়েছে ৩টি, হেরেছিল ৪ ম্যাচে।
চতুর্থ ইনিংসে এর আগে বাংলাদেশের জয়ের রেকর্ড রয়েছে সর্বোচ্চ ২১৯ রান তাড়া করার। আফগানিস্তান তার চেয়ে ১৬৭ রান বেশি করে ফেলেছে। সুতরাং, রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি কিংবা জহির খানদের ঘূর্ণি মোকাবিলা করে সাকিব আল হাসানরা কি পারবেন অসম্ভবকে সম্ভব করতে?
আই/