তবুও আশায় বুক বাঁধছে বাংলাদেশ!
প্রকাশিত : ১৭:০৮, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৭:২৩, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
লিটন, মোসাদ্দেক, মুশফিক, মোমিনুলরা একে একে বিদায় নিলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন সাদমান ইসলাম। ধৈর্য্যের মূর্তমান প্রতীক হয়ে চেষ্টা করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি বাঁধার। কিন্তু মোহাম্মদ নবির লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে শেষ পর্যন্ত ক্রিজছাড়া হতে হয় সাদমানকে। আর এতেই লজ্জাজনক হারের প্রহর গুণছে বাংলাদেশ!
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আবারো বৃষ্টির কবলে চট্টগ্রাম টেস্ট। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩৬ রান। ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান ৩৯ রানে এবং সৌম্য সরকার শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ৭ রান করে। আজকের দিনে আরও ১৩ ওভার খেলা হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি নামায় আজ আর খেলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাইতো পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচার আশায় বুক বাঁধছে গোটা বাংলাদেশ।
এর আগে এদিন সকালে বৃষ্টির যে আশঙ্কা ছিল তা বাস্তবে পরিণত হয়। তাতে পুরো দিন ভেসে না গেলেও খেলা বন্ধ থাকে সকালের দুই ঘণ্টা। যাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি স্বাগতিকদের। উল্টো আজকেই রেজাল্ট হওয়ার সম্ভাবনা জেগে উঠেছে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। মূলত এ টেস্টে চরম হতাশ করেছে মুশফিক-রিয়াদরা।
রোববার বৃষ্টি বাধায় ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট বিলম্বে শুরু হওয়া চতুর্থ দিনে ২৩ রান যোগ করে ২৬০ রানে গুটিয়ে যায় আফগানদের দ্বিতীয় ইনিংস। যাতে বাংলাদেশের সামনে ৩৯৮ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় রশিদ খানের দল।
দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ইব্রাহিম জাদরান ৮৭ (২০৮), আসগার আফগান ৫০ (১০৮) রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান ৩টি আর তাইজুল, মেহেদি ও নাঈম দুটি করে উইকেট নেন।
ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করলেও লাঞ্চ বিরতির পর সে ধারাবাহিকতা আর থাকেনি ব্যাটসম্যানদের মাঝে। ফলে ক্রিকেট প্রেমীদের যে আশা ছিল তাতে চির ধরে। দুপুর ১টায় হওয়া লাঞ্চ বিরতির পর বিদায় নেন ওপেনিংয়ে নামা লিটন দাস। ধৈর্য্য ধরে খেলতে থাকা লিটন আউট হন ৩০ বলে ৯ রান করে। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার জাহির খানের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।
লিটনের বিদায়ের পর ওয়ানডাউনে নামা মোসাদ্দেক শুরু থেকেই মারমুখী হওয়ায় বিদায়ের ঘন্টা বাজে খুব অল্প সময়েই। জহির খানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে আসগার আফগানের দুর্দান্ত, অসাধারণ এক ক্যাচের শিকার হন মোসাদ্দেক হোসেন। তার আগে ১৬ বল থেকে ১২ রান যোগ করেন তিনি। পরে তার পথেই হাঁটেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মোমিনুল হক।
রশিদ খানের স্পিন ঘূর্ণিতে মুশফিকুর রহিম ২৩ (২৫) ও মুমিনুল হক ৩ (৮) রান করে ফেরেন সাজঘরে। তাদের বিদায়ে খাদের কিনারে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর শেষ ভরসা মাহমুদউল্লাহও (৭) বিদায় নিলে পরাজয়ের প্রহর গুণতে থাকে টাইগার ভক্তরা। কারণ তখনও যে দিনের খেলা শেষ হতে ১৩ ওভার বাকি। ঠিক এমন সময়ই হানা দেয় বৃষ্টি। হ্যাঁ এই বৃষ্টিই এখন একমাত্র ভরসা। কারণ লজ্জাজনক পরাজয় থেকে বাঁচাতে পারে আফগানদের প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠা বৃষ্টিই।
এদিকে, এ ইনিংসেও টাইগারদের জন্য ত্রাস হয়ে উঠেছেন আফগান স্পিনাররা। বিশেষ করে, প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়া আফগান ক্যাপ্টেন রশিদ খান। ইতমধ্যেই নিয়েছেন তিন উইকেট। আছেন অনন্য, বিরল এক রেকর্ডে নাম লেখানোর অপেক্ষায়। যার জন্য আরও দুটি উইকেট প্রয়োজন তার। তাহলেই ফিফটিসহ এক টেস্টের উভয় ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব গড়বেন সর্বকনিষ্ঠ এ অধিনায়ক।
রশিদ খান ছাড়া জহির খান দুটি ও মোহাম্মদ নবি একটি উইকেট লাভ করেন।
এনএস/