ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জয়ের পর যা বললেন আফিফ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪০, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারতেই বসেছিল বাংলাদেশ। স্বল্প ওভারে বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ সূচনা করেছিল লিটনরা। কিন্তু দলীয় ২৬ রানের মাথায় চাতারার বলে লিটন দাসের সাঁজঘরে ফেরার মধ্যদিয়ে ব্যাটিংস ধস নামে টাইগার শিবিরে। 

লিটনের বিদায়ের পর মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে আরো তিন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান (সৌম্য, সাকিব ও মুশফিক) একে একে প্যাভিলিয়নের পথে হাটেন। সেখান  থেকে ৩০ রান যোগ করতেই খোয়া গেছে আরো দুই উইকেট। ফলে, ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যেন পরাজয়ের আরেকটি লজ্জার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। 

দলপতি ও প্রথম সারির অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা যখন ব্যর্থ তখন জয়ের নেশায় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ছুটছেন দুই তরুণ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও আফিস হোসাইন। 

আফিসের আগে নামলেও, শুরু থেকে উইকেট হারানোয় কিছুটা দেখে শুনে খেলার চেষ্টা করেন মোসাদ্দেক। আর সাব্বিরের বিদায়ের পর মাঠে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী রুপ দেখান আফিস। আর এতেই জিম্বাবুয়ে শিবিরে কাঁপন ধরে।  


শেষ পর্যন্ত দলকে পরাজয়ের তীক্ততা থেকে বের করে আনতে সক্ষম হন এ দুই তরুণ। দলের যখন প্রয়োজন আর মাত্র ৫ রান। এমন সময় বাউন্ডিারি হাকাতে গিয়ে নেভিলে মাদজিভার বলে মাসকাদজার হাতে ধরা পড়েন ১৯ বছর বয়সী এ তরুণ। তবে তার আগে তুলে নেন টি-টোয়েন্টিতে অর্ধশতকের কৃতিত্ব। 

আর ম্যাচ ফিনিংশ টানেন আরেক তরুণ অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ২৪ বলে ৩০ রান নিয়ে অপারাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জয়ের কারণ তুলে ধরে আফিফ হোসাইন বলেন, নিজের মত করে খেলতে পারার কারণেই এমন কঠিন ম্যাচকে বের আনা সম্ভব হয়েছে। 

নিজের ব্যাটিং নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে ১৯ বছর বয়সী তরুণ ক্রিকেটার বলেন, যেমনটা চেয়েছিলাম সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছি। ম্যাচ জেতানোর মতো একটি ইনিংস খেলেছি। নট আউট থাকতে পারলে নিজের কাছে আরো ভাল লাগতো। কোনো বাধা ছাড়াই খেলতে পারছি, এ কারণে জয় পাওয়া সম্ভব হয়েছে। 

আই/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি