নবী তাণ্ডবে বড় সংগ্রহ আফগানদের
প্রকাশিত : ২০:১২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২০:২৯, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ দাঁড় করেছে আফগানিস্তান। সাইফুদ্দিন-সাকিবের জোড়া আঘাতে ৪০ রানেই ৪ উইকেট হারালেও মোহাম্মদ নবীর তাণ্ডব ছড়ানো ব্যাটিংয়ে ১৬৪ রানের সংগ্রহ পায় আফগানরা। সাইফুদ্দিন চার উইকেট নিলেও ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে নবী করেন
এদিন দুই ছয় আর তিন চারে ৪০ করা আসগর আফগান সাইফুদ্দিনের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরলেও সাত ছক্কা আর তিন চারে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ নবী। যদিও শেষ বলে তাকে আউট করার সুবর্ণ সুযোগ পান মুস্তাফিজ। কিন্তু ক্যাচ ধরে রাখতেপারেননি তিনি। যাতে ৬ উইকেট হারিয়েই ১৬৪ তে শেষ হয় আফগান ইনিংস।
এর আগে গুরবাজ শূন্য এবং জাজাই ১, তারাকাই ১১ এবং জাদরান ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শুরুতে দুর্দান্ত বোলিং করলেও মাঝে খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সাইফ ৩৩ রানে ৪টি উইকেট পেলেও উইকেটলেস থাকেন মুস্তাফিজ ও তাইজুল। তবে সাকিব দুটি উইকেট তুলে নেন।
রোববার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়। প্রথম ম্যাচের জয়ের ধারা অব্যহত রেখে, রশিদ খানদের বিপক্ষে এ ম্যাচেও জয় পেতে মরিয়া সাকিবরা।
আজকের ম্যাচে দু'দলেই কোনও পরিবর্তন নেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলানো একাদশ নিয়েই এ ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও আফগানরা।
এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচেও জয় তুলে নিতে চাইবে সাকিব আল হাসানের দল। জয়ী দল উঠে যাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
টেস্ট, ওয়ানডেতে আফগানদের বিপক্ষে এগিয়ে থাকলেও, টি-টোয়েন্টির এ ফরম্যাটেই তাদের থেকে পিছিয়ে টাইগাররা। র্যাংকিংয়ে রশিদ খানরা যেখানে সাতে, সাকিবদের জায়গা হয়েছে সেখানে দশে। আর দুর্বল জিম্বাবুয়ে আছে চৌদ্দ নম্বরে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকা আফগানরা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের উপরে অবস্থান করলেও টাইগারদের শক্তিশালী ব্যাটিং ও বোলিং সম্পর্কে বেশ অবগত রশিদ খানরা। তাই, স্বাগতিক বাংলাদেশের পক্ষে জয় পাওয়া যে কঠিন হবে, তা মাথায় রেখেই দল সাঁজাতে ব্যস্ত আফগান অধিনায়ক।
আর, প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারালেও, টপঅর্ডারদের ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি টাইগাররা। ফলে, সে ম্যাচ ছিল একরকম বাঁচা-মরার। তবে, তারপরও জয় পাওয়ায় মানসিকভাবে এগিয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ।