শ্রীলঙ্কায় বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত মুমিনুলদের
প্রকাশিত : ২১:০৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
শ্রীলঙ্কা-এ ও বাংলাদেশ-এ দলের মধ্যকার প্রথম চারদিনের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে গেলে দুই বোর্ডের আলোচনায় নতুন সূচিতে পুরো সিরিজ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তাতেও বিধি বাম। বৈরী আবহাওয়ায় ভেস্তে যায় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা। অবশেষে রোববার খেলা মাঠে গড়ালে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পোড়েন জহুরুল-মিঠুন। তবুও বড় সংগ্রহের ইঙ্গিতে দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
এদিন বহু প্রতীক্ষার পর শুরু হওয়া দু’দলের মধ্যকার প্রথম চারদিনের ম্যাচে টসে হয় পান মুমিনুল হক সৌরভ। সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিংয়ের। অধিনায়কের এমন সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ২৭০ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করে সফরকারীরা।
হাম্বানটোটায় ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরির সুযোগ পেয়েও অল্পের জন্য তা হাতছাড়া করেন অভিজ্ঞ জহুরুল ইসলাম অমি ও মোহাম্মদ মিঠুন। ওপেনিংয়ে নামা জহুরুল সাজঘরে ফেরেন ১০ রানের আক্ষেপ নিয়ে। তার ৯০ রানের ইনিংসে ছিল আটটি চারের মার।
আর মিঠুন রান-আউটে কাটা পড়েন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৮ রান দূরে থাকতেই। তার ৯২ রানের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও তিনটি ছক্কার মার। জহুরুলের ইনিংসটি ২১০ বলের ধীরস্থির হলেও মিঠুন ছিলেন বেশ খানিকটা আগ্রাসী। ১২০ বলে ওই রান করেন এই ডানহাতি।
এ দুজন ছাড়াও সফরকারীদের পক্ষে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও। জহুরুলের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামা এ বাঁহাতি আউট হন ৫৩ রানে। উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ৯০ রানের শুভ সূচনা এনে দেয়ার পর আশান প্রিয়াঞ্জনের স্পিনে স্ট্যাম্পড হন জাতীয় দলের এ তরুণ ওপেনার।
এই তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ভালো করতে পারেননি আউট হওয়া অন্য কেউই। তরুণ উদীয়মান নাজমুল হোসেন শান্ত (৪), অধিনায়ক মুমিনুল হক (১১) এবং নুরুল হাসান সোহান (১) ছিলেন রীতিমত ব্যর্থ। তাদের ব্যর্থতার পর দিনের শেষ অংশটা পার করেন সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সোমবার সৌম্য ৮ রান নিয়ে এবং মিরাজ ৭ রান নিয়ে শুরু করবেন তৃতীয় দিনের খেলা।
এদিন লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন রমেশ মেন্ডিস। ১৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২টি উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়া বিশ্ব ফারনান্ডো, আসিথা ফারনান্ডো ও আশান প্রিয়াঞ্জন নেন ১টি করে উইকেট।
এনএস/