ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

করাচীতে শ্রীলংকার বিপক্ষে পাকিস্তানের সহজ জয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩২, ১ অক্টোবর ২০১৯

প্রায় ১০ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে নেমে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে তেমন একটা সুবিধা আদায় করতে পারলো না শ্রীলঙ্কা। উসমান সেনওয়ারির বোলিং তোপে দলীয় ২৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। এই বিপর্যয় আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি লঙ্কানরা। যার ফলে ৬৭ রানের সহজ জয় পায় পাকিস্তান।

দীর্ঘদিন পড় নিজেদের দেশে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পেয়েছিল পাকিস্তান দর্শকরা। কিন্তু পাকিস্তানি বোলাররা ম্যাচটিকে একপেশে করে ফেলায় ম্যাচটি তেমনভাবে জমেনি। ১০.১ ওভারে প্রথম ৫টি উইকেট পড়ে গেলে সেই ম্যাচ টেনে তোলা অনেক কঠিন। তবুও দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন সানাকা ও জয়সুরিয়া। শ্রীলঙ্কার এই দুই ব্যাটসম্যান স্লগ ওভারের চাপ সামলাতে পারেননি। ৪১তম ওভারে ষষ্ঠ উইকেট জুটি ভেঙে যাওয়ার পর বাকি দুটি উইকেটও ভেঙে যায় দ্রুততার সঙ্গেই।

ব্যক্তিগত ৯৬ রানের মাথায় উসমান সেনওয়ারির বলে আউট হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রাণপন চেষ্টা করেছিলেন জয়সুরিয়া। অপরদিকে তাকে সঙ্গ দিয়ে যাওয়া সেট ব্যাটসম্যান সানাকা ৬৮ রান করে আউট হন সাদাব খানের বলে। এই জুটি আউট হলে সিলভা কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ওই সাদাব খানের বলেই ৩০ রান করে আউন হয়ে যান তিনি। এরপর তেমনভাবে আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি, যার ফলে ৪৬.৫ ওভারে ২৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। আর ৬৭ রানের সহজ জয় পায় পাকিস্তান।

মূলত উসমান সেনওয়ারির বোলিংয়েই ভেঙে যায় শ্রীলংকার ব্যাটিং মেরুদণ্ড। তিনি ১০ ওভার বল করে একটি মেডেনসহ ৫১ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। এছাড়া ৯.৫ ওভার বল করে ৭৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন সাদাব খান।

গতকাল সোমবার করাচির জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানরা মোটামুটি সাচ্ছন্দেই খেলছিল। বাবর আজমের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৩০৫ রান করে পাকিস্তান।

উদ্বোধনী জুটিতে ৭৩ রান সংগ্রহ করে সাজঘরে ফেরেন ইমাম-উল-হক। তার আগে ৪১ বলে ৩১ রান করেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। এরপর ৩১ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। তার আগে ক্যারিয়ারের ৪৫তম ম্যাচে ১২তম ফিফটি গড়েন তিনি।

১০৪ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন বাবর আজম ও হারিস সোহেল। তৃতীয় উইকেটে তারা ১১১ রানের জুটি গড়েন। ৪৮ বলে ৪০ রান করতেই রান আউটের ফাঁদে পড়েন হারিস। তার বিদায়ের পরও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন তিন নম্বর পজিশনে খেলতে নামা বাবর আজম।

তিনি ১০৫টি বল মোকাবেলা করে ১১৫ রানের মাথায় কুমারার বলে আউট হয়ে যান। তার এই ইনিংসে ৪টি ছয় এবং ৮টি চারের মার রয়েছে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭১তম ইনিংসে ১১তম সেঞ্চুরি হাঁকান বাবর। শেষ দিকে ইফতেখার আহমেদ ২০ বলে করেন ৩২ রান। যার ফলে ৭ উইকেটে ৩০৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে পাকিস্তান।  

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি