ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দুর্দান্ত সাইফে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৮, ১২ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১৯:২২, ১২ অক্টোবর ২০১৯

সাইফ হাসান

সাইফ হাসান

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাইপলাইনে যে কয়জন তরুণ ক্রিকেটার রয়েছেন, তাদের মধ্যে সাইফ হাসান ও মোহাম্মদ নাঈম অন্যতম। জাতীয় দলে এরইমধ্যে ডাকও পেয়েছিলেন নাঈম। সব কিছু ঠিক থাকলে সাইফেরও ডাক আসার কথা। কেননা শ্রীলঙ্কায় দুর্দান্ত ধারাবাহিক এ দুই তরুণ আজ জ্বলে উঠলেন একসঙ্গেই। আর এতেই বড় জয়ের সঙ্গে সিরিজও জিতেছে বাংলাদেশ। 

শনিবার কলম্বোর প্রেমাদাসায় অনুষ্ঠিত 'এ' দলের তৃতীয় ওয়ানডেতে দুর্দান্ত শুরু এনেছিলেন সাইফ হাসান আর নাঈম শেখ। ফিফটি করা নাঈমের আউট নিয়ে উত্তাপ তৈরি হলে কয়েক মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। পরে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে দলকে বড় পুঁজি পাইয়ে দেন সাইফ। 

সিরিজ নির্ধারণী এ ম্যাচে সাইফ-নাঈমের ব্যাটে ৩২২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। জবাবে ২৪.৪ ওভারে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল ৬ উইকেটে ১৩০ রান তোলার পর আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হলে ডি/ল মেথডে বাংলাদেশ পায় ৯৮ রানের বড় জয়। আর এতে তিন ম্যাচের সিরিজে মোহাম্মদ মিঠুনের দল জিতল ২-১ ব্যবধানে।

এদিন সকালে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার ছিলেন ছন্দে, সেই ছন্দ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ধরে রাখেন তারা। দুজনের ১২০ রানের জুটি ভাঙে নাঈমের অপ্রত্যাশিত আউটে। ২৩তম ওভারে রান আউট করতে থ্রো করেছিল শ্রীলঙ্কান ফিল্ডাররা। বল এসে লাগে নাঈমের পিঠে। এতে লঙ্কানদের ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার।

তখন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ। বাদুনাবাদে খেলা বন্ধ থাকে কয়েক মিনিট। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনেই খেলা শুরু হয়। নাঈমের আউটের পর দ্রুত ফিরে যান পুরো সিরিজে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা নাজমুল হোসেন শান্ত। চারে নেমে এনামুল হক বিজয়ও পারেননি সুযোগ কাজে লাগাতে। হুট করে দিশা হারানো দল পথ খুঁজে পায় অধিনায়ক মিঠুন ও সাইফের জুটিতে। ৯৯ রানের এ জুটি ভাঙে সাইফের বিদায়ে।

১১০ বলে ১২ চার, ৩ ছক্কায় ১১৭ রান করে আউট হন সাইফ হাসান। মিঠুন ফেরেন ৩৫ বলে ৩২ রান করে। স্লগ ওভারে নুরুল হাসান সোহান ১২ বলে ১৭ আর সানজামুল ইসলাম ৭ বলে ১২ করলে বড় পুঁজি নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। 

পরে ৩২৩ রানের লক্ষ্যে নামা লঙ্কান শিবিরে প্রথম ধাক্কা দেন আফিফ হোসেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসা এই অফ স্পিনার নিজের পঞ্চম বলেই ফেরান পাথুম নিসাঙ্কাকে। আরেক ওপেনার সান্দুম ঋকডিকে বোল্ড করে উল্লাসে মাতেন আবু হায়দার রনি।

এরপর ব্যাটের পর বল হাতেও কারিশমা দেখান সাইফ হাসান। রানের মধ্যে থাকা অধিনায়ক আশান প্রিয়ঞ্জন আর প্রিয়মল পেরেরার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট দুটি তুলে নিয়ে দলকে সবচেয়ে বড় স্বস্তি পাইয়ে দেন ম্যাচ সেরা এই অলরাউণ্ডার। কেবল কামিন্দু মেন্ডিসই ছিলেন অস্বস্তির কারণ। ইবাদত হোসেন এসে তাকে সাইফের ক্যাচ বানিয়ে ফেরালে কেটে যায় সে অস্বস্তিও। তার আগে আশান বান্দারাকেও তুলে নেন এই পেসার।

ছয় উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা যখন পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই আকাশ কালো হয়ে এলে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। যাতে ৯৮ রানে এগিয়ে থাকায় বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সঙ্গে সিরিজটাও।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি