ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

‘সাকিবের শাস্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে আইসিসি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১২, ৩০ অক্টোবর ২০১৯

সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে ক্ষমা চাওয়ায় এক বছর নিষিদ্ধ এবং বাকি এক বছর আইসিসির বিভিন্ন সেমিনারে যোগ দিতে হবে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি২০ অধিনায়ককে। এসময়ে ফের অপরাধ করলে আগের শাস্তিই বহাল থাকবে।

একে লঘু পাপে গুরুদণ্ড মনে করছেন ভারতীয় কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড়। সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে তিনি লেখেন- অবিশ্বাস্য! সাকিবের শাস্তিটা কী বেশি কঠোর হয়ে গেল না? সে কি ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিল? আমার মনে হয়, তার একমাত্র অপরাধ হলো আইসিসি এবং অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব সম্পর্কে না জানানো। এ জন্য দুই বছর নিষেধাজ্ঞা একটু বেশিই কঠিন হয়ে গেছে। আমি আশা করি, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে আইসিসি।

দ্রাবিড়ের কথা বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার কানে গেলে বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল। অন্যথায় মহাবিপাকে পড়বে দেশের ক্রিকেট। তাকে ছাড়াই কমপক্ষে ৩৬টি ম্যাচ খেলতে হবে টাইগারদের। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।

চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ও ২৭ আগস্ট সাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব জানান যে, আগারওয়ালের কাছ থেকে কয়েকবার প্রস্তাব পেয়েও তিনি তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাননি। এটাও বলেন যে, তিনি জানতেন প্রস্তাব পেয়েও না জানানো মানে আইসিসির বিধি ভঙ্গ করা।

আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের কাছে সাকিব দাবি করেছেন, আগারওয়ালের অনুরোধে সাড়া দিয়ে কোনও তথ্য তিনি জোগান দেননি। আগারওয়ালের কাছ থেকে অর্থ বা উপঢৌকন নেননিও বলে দাবি তারকা ক্রিকেটারের। তিনবার প্রস্তাব পেয়েও কর্তৃপক্ষকে না জানানোর কথা যেহেতু প্রমাণিত হয়েছে, ধারা অনুযায়ী শাস্তি পেয়েছেন সাকিব।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল নিশ্চিত করেছে যে এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সাকিবকে তিনবার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, কোনোবারই সাকিব সেকথা আইসিসিকে জানাননি।

টিআর/এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি