ঐতিহাসিক ম্যাচে টাইগারদের ঐতিহাসিক জয়
প্রকাশিত : ২৩:২৭, ৩ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২৩:৩২, ৩ নভেম্বর ২০১৯
বাংলাদেশের জয়ের মুহুর্তে মুশফিকের উচ্ছ্বাস
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে ১০০০তম ম্যাচ বলে কথা। তাইতো উপলক্ষটা ছিল বেশ বড়। ২০০৫ সালে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম সংস্করণের হাজারতম ম্যাচটি খেলার সুযোগই শুধু নয়, ভারতকে হারিয়ে রীতিমত ইতিহাসে নাম লেখালো বাংলাদেশ।
একইসঙ্গে নিজেদেরকে স্মরণীয়ই করে রাখলেন মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্যরা। দলের দুই মহারথী সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে ছাড়াই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মত এজন্য যে, আগের আট বারের মোকাবেলায় একবারও জয় ভারতকে হারাতে পারেনি টাইগাররা। প্রতিবেশী এই শক্তিশালী দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নবম ম্যাচে এসে প্রথম জয়টি তুলে নিলো বাংলাদেশ।
ঐতিহাসিক এ ম্যাচটিতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানেই জিতেছে টাইগাররা। স্বাগতিকদের করা ১৪৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর থেকেই বারবার ম্যাচের ভাগ্য দুলেছে পেন্ডুলামের মতো। তবে শেষ হাসি হেসেছেন দুই 'ভায়রা ভাই' মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহই।
মুশফিকের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে একেবারে শেষ ওভারে গিয়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত খেলতে হয়নি শেষ তিন বল। অভিষিক্ত নাইম শেখ ২৬ ও আরেক বাঁহাতি সৌম্য সরকারের ৩৯ রানের ওপর ভর করে জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ। তবে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাজটা করেন মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
দুই ভায়রার অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটিতে ম্যাচের ৩ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। অভিষিক্ত শিভাম দুবের করা শেষ ওভারের তৃতীয় বলে অসাধারণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এমন জয়ের ম্যাচে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের পঞ্চম ফিফটি হাঁকানো ম্যাচ সেরা মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৬০ রান করে। তার ৪৩ বলের ইনিংসে ছিল আটটি চার ও একটি ছয়ের মার। আর ম্যাচ জয়ী ছক্কা হাঁকানো মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১৫ রান।
এনএস/