নায়ক সেই মুশফিকুর রহিম
প্রকাশিত : ০০:০৪, ৪ নভেম্বর ২০১৯
অপরাজিত ৬০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলার পর জয় নিশ্চিতের মুহূর্তে মুশফিকুর রহিম
দলে ছিলেন না দুই সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। তাই স্বাভাবিকভাবেই দলের দায়িত্ব চাপে দুই ভায়রা মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ওপরই। যারা কিনা এই ভারতের বিপক্ষেই বাংলাদেশের বহু কান্নার সাক্ষী। তবে সেই কান্নাকে আরেকবার ফিরতে দেননি ভায়রা-ভাই। ছিনিয়ে নিয়েছেন দুর্দান্ত জয়। যে ম্যাচের নায়ক সেই মুশফিক।
আগের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে তিন বলে এক রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মিলে সেই সহজ সমীকরণটাই মেলাতে পারেননি সেবার। দিল্লিতে সেই কলঙ্ক মিটলো আজ (৩ নভেম্বর) রাতে। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়টা যখন আসলো তখনও উইকেটে ছিলেন সেই দুই ভায়রা মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ।
অরুণ জেটলিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের এই রাজসিক জয়ের নায়কই যে মুশফিকুর রহিম। ভারতের ১৪৮ রানের জবাব দিতে নেমে শেষ দিকে বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেখান থেকে দলকে একাই বের করে নিয়ে আসেন মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিক। ম্যাচে ভারতের অন্যতম সেরা বোলার খলিল আহমেদকে ১৯তম ওভারে টানা চারটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে সাত উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন ম্যাচ সেরা এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
ধাওয়ানকে করা মুশফিকের সেই রান আউট
এর আগে ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল। লিটন দাস শুরুতে ঝড়ের আভাস দিয়ে ফিরলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় বড় দুটি জুটি পায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তরুণ নাঈম শেখের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়েন সৌম্য সরকার। নাঈম ২৮ বলে ২৬ রানে আউট হলে তৃতীয় উইকেটে ৬০ রান তোলেন মুশফিক ও সৌম্য।
মূল্যবান এই জুটিতে রান উঠলেও নষ্ট হয় বেশকিছু বলও। ফলে শেষ দিকে চাপেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে ১৯তম ওভারের শেষ চার বলে টানা চারটি চার হাঁকিয়ে সেই চাপকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দুর্দান্তভাবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন মুশফিকুর রহিম।
শেষ পর্যন্ত ১৯.৩ ওভারে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা মুশফিকুর ৪৩ বল খেলে ৮ চার ১ ছয়ে ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন। সঙ্গে ছক্কা মেরে ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিত করা ক্যাপ্টেন রিয়াদ অপরাজিত ছিলেন ৭ বলে ১৫ রান নিয়ে। এর আগে সৌম্য সরকার ৩৯ ও নাঈম হাসান ২৬ রান করেন।
এর আগে কিপিং করার সময় শিখর ধাওয়ানের বিপক্ষে মুশফিক করেন সফল রান আউট। যার ফলে বড় ইনিংস খেলার পথে থাকা ধাওয়ানকে ফিরতে হয় ৪১ রানেই।
এনএস/