ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রোহিত-তাণ্ডবে স্বপ্ন ভাঙলো বাংলাদেশের

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ২২:৫৫, ৭ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২৩:২৩, ৭ নভেম্বর ২০১৯

ঝড়ো ফিফটির পর রোহিতের উদযাপন

ঝড়ো ফিফটির পর রোহিতের উদযাপন

ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন নিয়েই দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ১৫৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের মাটিতে তাদেরকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ফিরতে চায় টাইগাররা! তবে জবাব দিতে নেমে রোহিত শর্মার ব্যাটিং তাণ্ডবে টাইগারদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ করে সিরিজে ১-১ সমতায় ফেরে ভারত।  

এ ইনিংসে বোলিং করতে এসেই নিজের প্রথম ওভারে ১১ রান দেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারে শফিউল এসে দেন আট রান। পরে তৃতীয় ওভারে বল হাতে এস রানের নাগাল কিছুটা টেনে ধরেন আল-আমিন। 

তবে ভারতীয় দুই ওপেনারের, বিশেষ করে আগের ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া রোহিত শর্মার ব্যাটিং তাণ্ডবে ১০ ওভারেই ১১৩ রান তুলে ফেলে স্বাগতিকরা। যেখানে মাত্র ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শততম ম্যাচ খেলা ভারত অধিনায়ক রোহিত। 

এসময় টাইগার বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান ড্যাশিং এ ডানহাতি। ফিফটির পরে আরও তিনটি ছক্কা আসে মারকুটে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। ছিলেন আরেকটি সেঞ্চুরির পথেই। তবে শেষ পর্যন্ত সেই আমিনুলের দ্বিতীয় শিকার হয়েই ফিরতে হয় তাকে। ৪৩ বলে অনবদ্য ৮৫ রানের ইনিংস খেলে রোহিত যখন ফেরেন, তখন ভারতের স্কোর ১৩তম ওভারে এক উইকেটে ১২৫। যে ইনিংসেই ভঙ্গ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন। 

এর আগে আমিনুল বিপ্লবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার ২৭ বলে ৩১ রান করা শিখর ধাওয়ান। ফেরার আগে চারটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। যাতে ১১৮ রানে ভারতের প্রথম উইকেট ফেলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। 

পরে শিখর-রোহিতের দেখানো পথে ব্যাট করেই দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়ে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন শ্রেয়াস আয়ার ও লোকেশ রাহুল। এ দুজনে অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ২৪ ও ৮ রানে। যাতে ২৬ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের এ জয়ে সিরিজে সমতা আনে ভারত। 

আর এর ফলে অসাধারণ এক জয়ে নিজের শততম ম্যাচটি রাঙিয়ে নিলেন ভারপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। যেখানে নিজেই হন ম্যাচ সেরা নায়ক।

অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষে এ ম্যাচে সফল বোলার ছিলেন মাত্র তিন ম্যাচ খেলা তরুণ লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। মোস্তাফিজ-শফিউলসহ অন্যরা যেখানে চরম ব্যর্থ, সেখানে চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৯ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। এ নিয়ে তিন ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা দাড়ালো ছয়ে।  

এর আগে সন্ধ্যায় রাজকোটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও শেষটা ভালো না হওয়ায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১৫৩ রানের সংগ্রহ পায় মাহমুদউল্লাহর দল। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসেসিয়েশনের মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুভ সূচনাই করেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস। তবে ট্রাজিকভাবে দুইবার জীবন পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি লিটন দাস। আর নাঈমের পরই ব্যর্থ মনোরথে ফেরেন মুশফিক। তবে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর নির্ভরযোগ্য ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত বোর্ডে ১৫৩ রান জমা করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ দল। 

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে তরুণ ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট থেকে। ৩১ বলে পাঁচ বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এছাড়া সৌম্যের ২০ বলে ৩০ রান, রিয়াদের ২১ বলে ৩০ রান এবং আরেক ওপেনার লিটন দাসের ২১ বলে ২৯ রান ছিল উল্লেখযোগ্য। 

আগেরদিনের নায়ক মুশফিক (৪) ও আফিফ এদিন ব্যর্থ হলে বড় স্কোর গড়ার ইঙ্গিত দিয়েও তার নাগাল পায়নি বাংলাদেশ। ভারতের পক্ষে যুজবেন্দ্র চাহাল ২৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে ছিলে সফল বোলার।     

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি