ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মালান-মরগ্যানের রেকর্ডে উড়ে গেল কিউইরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৩৭, ৮ নভেম্বর ২০১৯

ডেভিড মালান-ইয়ন মরগ্যান

ডেভিড মালান-ইয়ন মরগ্যান

এক কথায় বিধ্বংসী ব্যাটিং যাকে বলে তেমনটাই করলেন ডেভিড মালান ও ইয়ন মরগ্যান। বয়ে গেল চার-ছয়ের বন্যায় গড়া হলো বেশক'টি রেকর্ড। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ পেল ইংল্যান্ড। যা তাড়া করতে নেমে রীতিমত খাবি গেল নিউজিল্যান্ড। কিউইদের উড়িয়ে সিরজে সমতায় ফিরলো ইংলিশরা।

আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নেপিয়ারে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে সফরকারীদের কাছে ৭৬ রানে হার মানে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের বিপক্ষে এটাই ইংলিশদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। যে জয়ে সিরিজে ২-২ ব্যবধানে সমতা আনলো মরগ্যানের দল। যার ফলে আগামী রোববার অকল্যান্ডের ম্যাচটিই হয়ে দাঁড়ালো সিরিজ নির্ধারণী। 

এদিন ব্যাটিং-বান্ধব উইকেট পেয়ে ভারতের রোহিত শর্মার মতই ঝড় তোলেন দুই ইংলিশ মারকুটে ডেভিড মালান ও ইয়ন মরগ্যান। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে ইংলিশ অধিনায়ক টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের হয়ে গড়েন দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড। ২১ বলে ফিফটি ছুঁয়ে তিনি ভাঙেন জস বাটলারের রেকর্ড (২২ বলে)। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৯১ রান করে প্রতিপক্ষ ক্যাপ্টেনের শিকার হন তিনি। তার ইনিংসে ছিল সমান ৭টি করে চার ও ছক্কার মার।

রোমাঞ্চের এখানেই শেষ নয়। মরগ্যান ফেরার মুহূর্ত কয়েক আগেই দেশের হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ডটা নিজের করে নেন ওয়ান ডাউন ব্যাটসম্যান মালান। ৩১ বলে ফিফটি স্পর্শ করার পর মাত্র নবম ম্যাচ খেলতে নামা এই ব্যাটসম্যান শততম রানের দেখা পান ৪৮তম বলে। দ্বিতীয় ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে এই সংস্করণে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। আগে এই কীর্তি ছিল কেবল অ্যালেক্স হেলসের (৬০ বলে)। ৯টি চার ও ৬টি ছক্কা মেরে ৫১ বল খেলা মালান অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে।

এর আগে তৃতীয় উইকেটে মাত্র ৭৬ বলে ১৮২ রানের জুটি গড়েন মালান ও মরগান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি। ওপেনিং জুটি বাদ দিয়ে বিবেচনা করলে, এটি সর্বকালের সেরা জুটি। ইংল্যান্ডের পক্ষে যে কোনও উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডও এটি। এই দুই বাঁহাতির কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ২৪১ রান তোলে ইংল্যান্ড।

এদিন শেষ ৪ ওভার থেকেই ৭৬ রান তুলেছে ইংল্যান্ড, যা টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড। শেষ ১০ ওভার থেকে তারা নিয়েছে ১৫৩ রান, যা যৌথভাবে সর্বকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ।

এদিকে, টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮ উইকেটে ২৩০ রান করেছিল তারা।

জবাব দিতে নেমে আকাশছোঁয়া লক্ষ্য তাড়ায় নিউজিল্যান্ডেরও শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। পিচের সুবিধা আদায় করে উদ্বোধনী জুটিতে ৪.৩ ওভারেই ৫৪ রান তুলে ফেলে কিউইরা। কিন্তু ১৪ বল থেকে ২৭ রান করা ওপেনার মার্টিন গাপটিল বিদায় নিলে শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল।

আরেক ওপেনার কলিন মুনরোও ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন। ২১ বলে ৩০ রান করে ফেরেন তিনিও। এক পর্যায়ে ৩৫ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় স্বাগতিকরা। শেষদিকে দলনেতা টিম সাউদি ২ চার ও ৪ ছয়ে ১৫ বলে ৩৯ রান করে কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পারেন।

ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে ১৭ বল বাকি থাকতেই নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৬৫ রানে। ইংল্যান্ডের হয়ে এদিন একইসঙ্গে সবচেয়ে খরুচে এবং সফল বোলার ছিলেন ম্যাট পার্কিনসন। ৪ ওভারে সর্বোচ্চ ৪৭ রান দিয়েও তুলে নেন ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তবে অনবদ্য সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচসেরা হন ইংলিশ ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি