ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

নাগপুরেই উৎসবে মাততে চায় বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:২৮, ৯ নভেম্বর ২০১৯

রাসেল ডোমিঙ্গো ও সৌম্য সরকার

রাসেল ডোমিঙ্গো ও সৌম্য সরকার

লো স্কোরিং উইকেট পেলে বাংলাদেশ যে ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটা দিল্লীতেই টের পেয়েছে ভারত। ভারতকে রীতিমত কাঁদিয়ে ছেড়েছে টাইগাররা। তবে রাজকোটের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে দেখা মেলে ঠিক উল্টোটা। যে কারণে সমতায় থাকা সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি এখন সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। তাইতো রোববার (১০ নভেম্বর) নাগপুরের ম্যাচেই উৎসবে মাততে চায় বাংলাদেশ।

কেননা, নাগপুরের বিদর্ভা স্টেডিয়ামের পিচ যে দিল্লীর মতোই স্লো। তাই তো আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে টাইগারদের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো স্বীকার করে নিলেন যে, লো স্কোরিং উইকেট হলেই বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক। ভারত-ইংল্যান্ডের মত আমাদের দলে বিগ হিটার নেই। যে কারণে সিঙ্গেলস ও ডাবল থেকেই যে রানের খাতা ভরতে হয়।

ডমিঙ্গো মনে করেন, নাগপুরে সচরাচর যেমন উইকেট দেখা যায়, তেমন উইকেট পেলে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশেরই ভালো করার সম্ভাবনাই বেশি।

সেক্ষেত্রে সুবিধা আদায় করে নিবেন স্পিনাররাই। ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। আমরা আমাদের স্পিনারদের কাজে লাগাতে পারব। উইকেট এমন হলে আমরা লড়াইয়ে আরও দৃঢ়ভাবে যুক্ত হতে পারব।’

পরিসংখ্যান বলছে, রাজকোটের চেয়ে নাগপুরে গড় রান কম। রাজকোটে ১৮০ থেকে ১৯০ রান উঠলেও নাগপুরের গড় রান ১৫৫। দিল্লিতে ১৪৮ রানের লক্ষ্যে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৭ উইকেটে। অন্যদিকে রাজকোটের হাই স্কোরিং ম্যাচে ১৫৪ রানের লক্ষ্য দিলে ৮ উইকেটের অনায়াস জয়ই তুলে নেয় ভারত। তাই যেহেতু নাগপুরের উইকেট রাজকোটের চেয়ে ভিন্ন, দিল্লীর মতোই। তাই নিশ্চিতভাবেই আর প্রত্যাশামাফিক, ফলাফল থাকবে সফরকারী বাংলাদেশের পক্ষেই।

এমনটা জানিয়ে ডমিঙ্গো যখন সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন, ঠিক তখনই ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রী অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে নিয়ে সেন্টার উইকেটে ‘গবেষণা’য় ব্যস্ত! মাঠের মধ্যেই রোহিতকে নিয়ে সেরে নিলেন সলাপরামর্শ। বেশ কিছুক্ষণের আলাপচারিতা শেষে শুকনোই দেখাল দুজনের মুখ।

শুকনো দেখানোও তো অস্বাভাবিক নয়। কারণ, ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে ভারতের তাণ্ডব সবারর জানা। কিন্তু নাগপুরে ধীর উইকেট পেলে বাংলাদেশও যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তা তো দিল্লীতেই দেখিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল! তাইতো নাগপুরে সিরিজ খোয়ানো নিয়েই শঙ্কিত ভারতীয় শিবির।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি