ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারত শিবিরে জায়েদের প্রথম আঘাত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪০, ১৪ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২১:৩২, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

ইউকেট নেয়ার পর আবু জায়েদের উদযাপন

ইউকেট নেয়ার পর আবু জায়েদের উদযাপন

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৫০ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। জবাব দিতে নামা ভারত শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন আবু জায়েদ। দলীয় ১৪ রানেই বিদায় নেন ওপেনার রোহিত শর্মা। তবে প্রথমদিন শেষে ২৬ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮৬ রান। 

এর আগে ওপেনিংয়ে নেমে ১৪ বল খেলা মারকুটে রোহিত শর্মা লিটনের গ্লাভসে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন এক বাউন্ডারিতে ৬ রান করে। ইনিংসের অষ্টম ওভারে আবু জায়েদের সুইংয়ে পরাস্ত হন এ ব্যাটসম্যান। 

তবে আরেকটা উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। দিনের খেলা শেষ হওয়ার দুই ওভার আগে স্লিপে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ফর্মে থাকা মায়াঙ্ক আগারওয়াল। কিছুটা নিচু হওয়া সেই ক্যাচ নিতে না পেরে শেষ বিকেলে বাংলাদেশের যন্ত্রণা বাড়িয়েছেন ইমরুল কায়েস।

‘জীবন পাওয়া’ আগারওয়াল শেষ পর্যন্ত দিন শেষ করেছেন ৩৭ রানে। আর তার সঙ্গে ৪৩ রানে অপরাজিত আছেন ওয়ান ডাউনে নামা চেতেশ্বর পুজারা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। সকাল ১০টায় শুরু হয় ম্যাচটি। স্বাগতিকদের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। 

নিজেদের ইনিংসের শেষ ১০ রানেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যেখানে কোনও ব্যাটসম্যানই ফিফটির দেখা পাননি। সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।

এর আগে ইমরুল কায়েস দলীয় ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে উমেস যাদবের শিকার হন। বল খোঁচা দিতে গিয়ে স্লিপে থাকা আজিঙ্কা রাহানের ক্যাচে পরিণত হন। ১৮ বলে ৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। পরের ওভারের শেষ বলে ইশান্ত শর্মার গতির কাছে হার মানেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। তিনি ২৪ বলে ৬ রান করেন। রান রেট কম থাকলেও মুমিনুল হকের সঙ্গে ধীর ব্যাটিং করতে থাকেন মোহাম্মদ মিঠুন। তবে তিনিও থিতু হতে পারেননি। ১৮তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ শামির ডেলিভারিতে এলবির ফাঁদে পড়েন ৩৬ বলে ১২ রান করা এই ডানহাতি।

৩৮তম ওভারে রবীচন্দ্রন অশ্বিনের ভেতরে আসা একটি বল ছেড়ে দিলে বোল্ড হন মুমিনুল হক। ৮০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করেন এ ম্যাচে নেতৃত্ব পাওয়া এই বাঁহাতি। চতুর্থ উইকেটে ৬৮ রান যোগ করেন মুমিনুল ও মুশফিক। অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমদুউল্লাহ। দলীয় ৪৬ ওভারের প্রথম বলে ডানহাতি এই স্পিনারের বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। ৩০ বলে ১০ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এরই সঙ্গে পঞ্চম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।

৫৪তম ওভারের পঞ্চম বলে পেসার মোহাম্মদ শামির বল ছেড়ে দিলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। ১০৫ বলে ৪৩ করা এই ব্যাটসম্যান ৪টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। পরের বলেই এলবির ফাঁদে মেহেদী হাসান মিরাজ (০) ফিরলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষে মাঠ ছাড়েন শামি। তৃতীয় সেশনে মাঠে ফিরেই ইশান্ত শর্মার শিকারে পরিণত হন লিটন দাস। ৩১ বলে ২১ করা এই ব্যাটসম্যান স্লিপে থাকা বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দেন। এরই সঙ্গে বাংলাদেশের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের পতন হয়।

বাংলাদেশের ইনিংসে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এবাদত হোসেন যাদবের বলে বোল্ড হন ব্যক্তিগত দুই রানে। তার আগে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তাইজুল ইসলাম। আবু জায়েদ ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান মোহাম্মদ শামি। আর দুটি করে উইকেট ভাগ করে নেন ইশান্ত, যাদব ও অশ্বিন।

বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ, এবাদত হোসেন।

ভারত একাদশ: মায়াঙ্ক আগারওয়াল, রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), রবীচন্দ্রন আশ্বিন, উমেশ যাদব, মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি