ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪

অবশেষে আউট হলেন জায়ান্ট মায়াঙ্ক!

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ১৭:১৯, ১৫ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৭:৩৫, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

ডাবল সেঞ্চুরির পর মায়াঙ্কের উদযাপন

ডাবল সেঞ্চুরির পর মায়াঙ্কের উদযাপন

ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েও ছুটছিলেন। টপকে যান আগের স্কোরকেও। কিছুতেই আউট করা যাচ্ছিল না তাকে। মাত্র অষ্টম টেস্ট খেলা মায়াঙ্ক আগারওয়াল অবশেষে ফিরলেন আড়াইশ'র আগেই, ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে। ভারতীয় ওপেনারকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট পেলেন ২৬ ওভার হাত ঘোরানো মিরাজ।

পরে আরও একটি উইকেট তুলে নিতে পারে বাংলাদেশ দল। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এবাদতের বলে আউট হয়ে ফেরেন উইকেট কীপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা (১২)। তবে শেষ বেলায় ফিফটি তুলে নেয়ার রবীন্দ্র জাদেজা আর উমেশ যাদবের মারকুটে জুটিতে দ্বিতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। যাতে ইতিমধ্যে স্বাগতিকদের লিড গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৩। 

এর আগে শুক্রবার সকালের জোড়া ধাক্কা সামলে বড় ইনিংসের পথেই ছুটতে থাকে ভারত। ইন্দোরে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও আজিঙ্কা রাহানের অনবদ্য জুটিতে তিন উইকেটে ৩০৯ রান তুলে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। ঠিক তখনই ফের আঘাত হানেন সেই আবু জায়েদ রাহী। এবার তার শিকার আজিঙ্কা রাহানে। ১৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন তিনি।

তাইজুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে মায়াঙ্কের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১৯০ রান যোগ করেন রাহানে। যেখানে সহ-অধিনায়কের অবদান ছিল মূল্যবান ৮৬ রান। তার ১৭২ বলের ইনিংসে ছিল নয়টি চারের মার। 

তবে স্বাগতিকদের পক্ষে বড় এ লিড নেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান মায়াঙ্কের। নিজের অষ্টম টেস্টেই দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ২৪৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। তার ৩৩০ বলের অনবদ্য এ ইনিংসে ছিল ২৮টি চার ও ৮টি বিশাল ছয়ের মার।  

এর আগে ইন্দোর টেস্টে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন আবু জায়েদ। শুক্রবার সকালে তিনি দ্রুত আউট করেছিলেন চেতেশ্বর পূজারা ও বিরাট কোহলিকে। ভারতের ইনিংসের প্রথম তিন উইকেটই ২৬ বছর বয়সি ডান-হাতি পেসারের শিকার। তার বলে ক্যাচ পড়লেও মনোবল হারাননি জায়েদ। বরং তার লড়াকু বোলিংই উত্তেজনা আমদানি করেছিল ম্যাচে। এখন পর্যন্ত চারটি উইকেট তুলে নেন সিলেটের এই তরুণ।

শুক্রবার সকালে এক উইকেটে ৮৬ নিয়ে শুরু করেছিল ভারত। বাংলাদেশের থেকে ৬৪ রান পিছনে ছিল তারা। চেতেশ্বর পূজারা ব্যাট করছিলেন ৪৩ রানে। মায়াঙ্ক আগরওয়াল অপরাজিত ছিলেন ৩৭ রানে। খেলা শুরুর পর এ টেস্টে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে হাফ সেঞ্চুরি করেও দ্রুত ফিরলেন চেতেশ্বর পূজারা। 
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালে আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেছিলেন তিনি। আবু জায়েদের ওভারে দুটো বাউন্ডারিসহ ১০ রান নেয়ার মধ্যেই পরিষ্কার ছিল, আগ্রাসী মেজাজেই থাকতে চাইছেন তিনি। ৬৮ বলে নয়টি চারের সাহায্যে অর্ধশতরান পূর্ণ করার পরই ফিরতে হয় তাকে। 

আবু জায়েদের বলেই গালিতে ক্যাচ দিলেন পূজারা (৫৪)। তার পরই ফিরলেন বিরাট কোহলি। কোনও রান না করেই এলবিডব্লিউ হলেন ভারত অধিনায়ক। ফিল্ড আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নিয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে দেখা যায়, বল লেগস্টাম্পে লাগছে। ফলে শূন্য হাতেই ফিরতে হয় বিরাটকে। 

এর আগে বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৫০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরু থেকেই ভারতীয় পেসাররা দুর্দান্ত সুইংয়ের নিদর্শন রেখেছিলেন। মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব ও ইশান্ত শর্মার সামনে দিশেহারা দেখাচ্ছিল টাইগার ব্যাটসম্যানদের। সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মুমিনুল হক। 

এর মধ্যে তিন উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার হলেন শামি। উমেশ ও ইশান্ত নেন দু’টি করে উইকেট। অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও নেন গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি