ঢাকা, শনিবার   ১২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

গোলাপি বলের সুইং ও বাউন্সে চিন্তিত টাইগাররা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৪, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

আগামী ২২ নভেম্বর প্রথমবারের মত গোলাপি বল হাতে মাঠে নামছে সফররত বাংলাদেশ ও স্বাগতিক ভারত। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের এ ঐতিহাসিক ম্যাচ দিয়ে দিবারাত্রির টেস্ট যাত্রা শুরু করছে দু’দেশ। 

ঐতিহাসিক এ ম্যাচে জয় পেতে মরিয়া উভয় দল। ইতোমধ্যে কোলকাতার ইডেনে পৌঁছেছে তারা। চলছে কঠোর অনুশীলন। অচেনা গোলাপি বলের প্রকৃতি সম্পর্কে এখনো ধোঁয়াশায় দুইদল। 

রোববার ভারতীয় দলের অনুশীলনে এসজি গোলাপি বলের সুইং ও বাউন্স সামলাতে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। গতকাল সোমবার বাংলাদেশের অনুশীলনেও একই অবস্থা দেখা গেল। 

মায়াঙ্ক আগরওয়ালদের বিরুদ্ধে যে এবাদত হোসেনকে নিষ্প্রভ মনে হয়েছিল, এদিনের অনুশীলনে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন সব চেয়ে ভয়ঙ্কর। অধিনায়ককে মোমিনুল হককে একাধিকবার পরাস্ত করলেন। সমস্যায় ফেললেন মুশফিকুর রহিমকেও।

বাংলাদেশের অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ গোলাপি বলের এ ভয়ংকর অবস্থা সম্পর্কে বলেন, স্পিনারদের বলও বেশি বাউন্স করছে। সাধারণের তুলনায় ডেলিভারি একটু যেন বেশি লাফাচ্ছিল (বাউন্স)। সিমে পড়লে বেশি ঘুরছেও। তবে শিশিরে ভিজলে বল অবশ্যই হাত থেকে পিছলে যেতে পারে। তখন সুইং হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করেন এ টাইগার স্পিনার।

তার বোলিং দেখেই আন্দাজ করা যায়, এসজি গোলাপি বল একজন পেসারকে কতটা বিপজ্জনক করে দিতে পারে। সঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমানের সুইং ও কাটার বড় পরীক্ষায় ফেলতে পারে ভারতকে। 

অনুশীলন শেষে মিরাজ বলেন, ‘গোলাপি বলে ব্যাট করে মনে হল সুইং ও বাউন্সের পরিমাণ বেশি। কখনও কখনও ‘কাট’ (সিমের সাহায্যে নড়াচড়া) করছে। লাল বলের তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে ব্যাটে আসছে এই বল। শুরুর দিকে সতর্ক থেকে খেলতে হবে।’

এসজি গোলাপি বলের এই সুইং ও বাউন্স বেশির কারণ সম্পর্কে এসজি’র এক কর্মকর্তা জানান, ‘সে রকম কোনো বিশেষ পদ্ধতি এখানে ব্যবহৃত হয়নি। তবে লাল বল বানাতে যে চামড়া ব্যবহার হয়, গোলাপি বলের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়। লাল বল তৈরি হয় লাল চামড়া দিয়ে। কিন্তু গোলাপি চামড়া পাওয়া যায় না। অন্য রংয়ের চামড়ার উপরে প্রথমেই কিছুটা রং করে দেওয়া হয়।’

ওই কর্মকর্তা বলেন, লাল বলের মতো হাতেই তৈরি করা হয় গোলাপি বল। কোকাবুরা গোলাপি বল যদিও যন্ত্রের সাহায্যে বানানো হয়। কিন্তু বল সুইং ও অতিরিক্ত বাউন্স করার কারণ লাল বলের চেয়ে এই বলের সিম (সেলাই) বেশি পোক্ত ও চওড়া। বল হাতে বোনার পরে ফের র‌ং ও বিশেষ ধাতুর স্তর (ল্যাকার) দিয়ে গোলাপি করে তোলা হয়। 

বল শুকিয়ে যাওয়ার পরে পালিশের জন্য পড়ে আলাদা স্তর। বল পুরনো হতে অনেক বেশি সময় লাগে। নতুন বলে সুইং পাওয়া গেলেও পুরনো বলে রিভার্স সুইং পাওয়া কঠিন। তবে সিম ও অতিরিক্ত রংয়ের স্তর থাকায়, সাধারণ লাল বলের চেয়ে কিছুটা গতি  ও বাউন্স এই বলে বেশি থাকে বলেও জানান তিনি। 

এআই/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি