৫ বছর নিষিদ্ধ ক্রিকেটার শাহাদাত
প্রকাশিত : ১৪:২৮, ১৯ নভেম্বর ২০১৯
খেলা চলাকালীন সতীর্থ খেলোয়াড় জুনিয়র আরাফাত সানিকে মারধরের ঘটনায় জাতীয় দলের এক সময়ের পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীবকে ৫ বছরের জন্য সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তবে, শাস্তি পাঁচ বছরের হলেও, স্থগিত করা হয়েছে দুই বছর। ফলে, নিয়ম অনুযায়ী কার্যকর হচ্ছে তিন বছর। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় লিগ টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদিন গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির দেয়া প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করে আমরা শাহাদাতকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছি। এর মধ্যে তিন বছর তিনি বিসিবির অধীনে কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না। পরের দুই বছর তিনি কড়া নজরদারিতে থাকবেন। কোনো রকম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে পুরো ৫ বছর তাকে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হবে বলেও জানান তিনি।
দুঃখজনক এ ঘটনার সূত্রপাত বল ঘষা নিয়ে। গত রোববার ঢাকা ও খুলনা বিভাগের মধ্যকার ম্যাচে ঢাকার পেসার মোহাম্মদ শহীদ ছিলেন বোলার। ফিল্ডার আরাফাত সানি ফিল্ডিং করছিলেন মিড অফে। শাহাদাত ছিলেন মিড অনে। বোলারের হাতে বল দেয়ার আগে রাজিব সতীর্থ ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে বলেন, ভালো মতো বলটা ঘষে দিতে যাতে ঔজ্জ্বল্য ঠিক থাকে।
কিন্তু আরাফাত সানি তা করতে অস্বীকৃতি জানান। তখন শাহাদাত এগিয়ে গিয়ে আরাফাত সানির কাছে জানতে চান, কেন বল ঘষে দেবে না? এ নিয়ে উভয়ের মাঝে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আরাফাত সানিকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন তিনি। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে লাথিও মারেন বলে জানা যায়।
ঘটনার পর ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ একটি প্রতিবেদন জমা দেন বিসিবিতে। যেখানে শাহাদাতের অপরাধকে আইসিসি 'লেভেল-৪' পর্যায়ের বলে উল্লেখ করা হয়। তার দেয়া রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিসিবি এমন সিদ্ধান্ত নিল।
এদিকে নিজের দোষ স্বীকার করে শাহাদাত বলেছেন, এটা সত্যি আমি নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি। তবে সানি আমার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছে। যা আমার পক্ষে হজম করা কঠিন ছিল।
অতীতেও নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়েছেন শাহাদাত। গত বছর রাজধানীর আসাদগেটে তার গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগায় এক সিএনজি ড্রাইভারের গায়ে হাত তোলেন তিনি। এর আগে ২০১৫ সালে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের দায়ে সস্ত্রীক জেলও খাটেন নারায়ণগঞ্জের এই পেসার।
এআই/