কলকাতায় পৌঁছে ইডেন-রোমাঞ্চ নিয়ে যা বললেন আল আমিন
প্রকাশিত : ২০:৩৮, ১৯ নভেম্বর ২০১৯
পেসার আল-আমিন হোসেন
একে তো ম্যাচটি ইডেন গার্ডেন্সে, সঙ্গে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট। ক্রিকেটার ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে রোমাঞ্চ ছড়ানোর জন্য এটুকুই যথেষ্ট। তার ওপর রয়েছে গোলাপি বলের রহস্য উন্মোচনের হাতছানি। মাঠের লড়াইয়ে নামতে ক্রিকেটারদের যেন তর সইছে না মোটেই।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় পৌঁছে এমনটাই জানালেন টাইগার পেসার আল আমিন হোসেন। জানালেন, ঐতিহাসিক টেস্টের অংশ হতে মুখিয়ে আছে সবাই।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আল আমিন বলেন, ‘আমরা সবাই উন্মুখ হয়ে আছি গোলাপি বলের এই ঐতিহাসিক টেস্ট খেলার জন্য। আমরা এতে অপরিচিত, ভারতও অপরিচিত। আর বলটাও তো নতুন। সে হিসেবে চ্যালেঞ্জিং ম্যাচই হবে। গত কয়েকদিন ধরে আমরা এ বলে অনুশীলন করছি। কলকাতাতেও আরও দু'দিন সুযোগ পাব। সবকিছু মিলিয়ে অতীতে যা হয়েছে তা নিয়ে ভাবলে তো সামনে এগোনো যাবে না। দল হিসেবে কীভাবে ভালো করা যায় সে চিন্তাই করছি। কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় সে চেষ্টাই থাকবে।’
গোলাপি বলে সুইং অনেক বেশি। পেসাররা পেতে পারেন বাড়তি সুবিধা। ইডেনের উইকেটে স্বাভাবিকের তুলনায় এখনও ঘাস অনেক বেশি। স্রেফ এগুলো হলেই উইকেট মিলবে এমন না, আল আমিন মনে করেন ভালো লাইন, লেংথের কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ দলের এই পেসার বলেন, লাল বলের সঙ্গে গোলাপি বলের মুভমেন্ট এবং সুইংয়ে অনেক পার্থক্য। তাই ম্যাচে ভালো ফলাফল করতে হলে মূল দায়িত্ব নিতে হবে বোলারদেরকেই।
এ বিষয়ে আল আমিন হোসেন আরও বলেন, ভালো করার দায়িত্বটা তাদেরই, কোচের নয়। অনুশীলন যতই করি না কেন, কোচ তো আমাদের খাইয়ে দিতে পারবে না। আমাদের যে কাজ বা প্রক্রিয়াটা দেখিয়ে দেবেন, আমরা সেটা নিয়ে অনুশীলনে কাজ করব। ওখানেও কিন্তু সব ঠিকঠাক হচ্ছে। মাঠে চাপ থাকবে সব থাকবে কিন্তু কাজটা আমাদের। ভালো করার দায়িত্ব আমাদের। অনুশীলন যেমন ভালো হচ্ছে, সেটা মাঠের খেলাতেও দেখাতে হবে।’
এদিকে, আগামী শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্সে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। আর এই ম্যাচটির মধ্যদিয়েই প্রথমবারের মতো দিবা-রাত্রির টেস্টের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ ও ভারত।
এনএস/