ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দৃষ্টি এখন গোলাপি ইডেনে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫৫, ২১ নভেম্বর ২০১৯

গোলাপি আভায় সজ্জিত ইডেন

গোলাপি আভায় সজ্জিত ইডেন

কলকাতা এখন পরিণত হয়েছে গোলাপি রঙের শহরে। নেতাজি সুভাস চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পুরনো কলকাতার অলিগলিতেও লেগেছে গোলাপি রঙের ছোঁয়া। সড়ক বিভাজনগুলোর বাতি থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে গোলাপি আলো। এই গোলাপি রঙের উৎস একটি ক্রিকেট ম্যাচ, গোলাপি বলের দিবা-রাত্রির টেস্ট।

বাংলাদেশ-ভারতের এই টেস্ট ম্যাচ শুরু হচ্ছে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ইডেন গার্ডেনসে। ঐতিহাসিক এই ম্যাচকে কেন্দ্র করেই কলকাতা সেজেছে অপরূপ রূপে, গোলাপি রঙে।

দিবারাত্রির টেস্ট ক্রিকেটের শুরুটা চার বছর আগে হলেও বাংলাদেশ বা ভারত কখনোই ফ্লাড লাইটে টেস্ট ম্যাচ খেলেনি। তাই কলকাতাতেই দিবারাত্রির টেস্টে অভিষেক হচ্ছে প্রতিবেশী দুই দেশের। ঐতিহাসিক এই ম্যাচ ঘিরে শহর জুড়ে চলছে উন্মাদনা। ছেলে-বুড়ো সবাই চাচ্ছে ভারতের গোলাপি বলের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি মাঠে বসে দেখতে, ইতিহাসের সাক্ষী হতে। টেস্টের মতো অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় খেলার টিকিটের জন্যও চলছে হাহাকার। 

ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই-এর সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী জানান, বুধবারই ম্যাচের চারদিনের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এই খবর জানার পরও ইডেনের সামনে মানুষের ভিড় একটুও কমেনি। ব্যারিকেড দিয়ে টিকিটপ্রত্যাশী দর্শকদের ঠেকাতে হচ্ছে পুলিশকে। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) থেকে ‘টিকিট নেই’ জানিয়ে দেওয়ার পরও কেউই জায়গা ছাড়ছে না। তীর্থের কাকের মতো কলকাতার ক্রিকেটানুরাগীরা অপেক্ষা করছেন একটি টিকিটের জন্য। 

কলকাতা টেস্ট ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল মূলত লাল বলে। সৌরভ গাঙ্গুলী বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার পরই ম্যাচটি দিবা-রাত্রির করার প্রস্তাব দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবিকে। ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাওয়ার পর খেলতে রাজি হন ক্রিকেটাররা। সৌরভ উৎসবের একটা উপলক্ষ্য খুঁজছিলেন। গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্ট আয়োজন করে কলকাতার মানুষকে উৎসব করার সুযোগ এনে দিয়েছেন। এই ম্যাচটিকে ঐতিহাসিক রূপ দিতে তিনি বেছে নেন গোলাপি রঙের বল। 

ইডেন গার্ডেনস সাজানো হয়েছে গোলাপি রঙের ছোঁয়ায়৷ স্টেডিয়ামের প্রতিটি পিলার গোলাপি রঙের কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গ্যালারির লাইটগুলো মোড়ানো হয়েছে গোলাপি রাঙতায়। আলো জ্বলে উঠলেই তাতে গোলাপি দেখায়। ইডেনের স্টাফদের পোশাকও গোলাপি রঙের। 

পিচ কিউরেটর সুজন মুখার্জি বলেন, ‘এই টেস্ট ম্যাচটি বিশেষ একটি জায়গা নিয়ে নিয়েছে। খেলা শুরুর আগেই ব্যাপক উন্মাদনা দেখতে পাচ্ছি। জীবনে কখনো এতটা ক্রেজ দেখিনি। ম্যাচের আকর্ষণ বাড়াতেই গোলাপি পোশাক দেওয়া হয়েছে। শহরের সব জায়গায় গোলাপি লাইটিং হয়েছে। বড় বড় দালানগুলোতে গোলাপি আলো দেখা যাচ্ছে। এর কারণ হলো দিবা-রাত্রির টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি দর্শকদের আকৃষ্ট করা। কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগে সফলই হয়েছে বলব।’

এসপ্লানেড থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সড়কের বিভাজনের বাতিগুলোকে মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে গোলাপি রঙের রাংতা দিয়ে। আর তাতেই পুরো শহর হয়ে উঠেছে গোলাপি। গঙ্গার বুকে যে লঞ্চ চলছে তাতেও রঙ দেয়া হয়েছে গোলাপি। বিভিন্ন বাহনে গোলাপি স্টিকার ব্যাবহার করে নতুনত্ব আনা হয়েছে। সবমিলিয়ে গোলাপি বলের টেস্টের ভেন্যু কলকাতা এখন রীতিমত গোলাপি শহর।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি