দিবারাত্রির টেস্টযুগে টাইগাররা
প্রকাশিত : ০৯:১১, ২২ নভেম্বর ২০১৯
ইডেন এখন পিঙ্ক গার্ডেন, যেখানে উড়ছে লাল-সবুজের পতাকা। কলকাতার এই গোলাপি ময়দানেই আজ লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা শুরু করবেন টেস্ট ক্রিকেটের আরেক অধ্যায়। দিবারাত্রির টেস্ট ক্রিকেটে নাম লেখাবেন।
২০১৫ সালে গোলাপি বলের টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ প্রথম খেলে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের অভিষেক হচ্ছে এরও চার বছর পর। স্বাগতিক ভারতও গোলাপি বলের দিবারাত্রির টেস্টে অভিষেক করছে ইডেনের ম্যাচ দিয়ে। এ জন্যই হয়তো এ ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা পৌঁছে গেছে অন্য এক উচ্চতায়। টেস্টের মতো সিরিয়াস ক্রিকেটেও সংযোজন করা হয়েছে বিনোদন। গোলাপি বলের দিবারাত্রির টেস্টে যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা। এই অভিযাত্রায় রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলা উপহার দিতে চান মুমিনুল হকরা। একই রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষা করছেন বিরাট কোহলিরাও।
শুধু বাংলাদেশ ও ভারতের নয়, উপমহাদেশেই প্রথম খেলা হচ্ছে গোলাপি বলের দিবারাত্রির টেস্ট। শ্রীলংকা ও পাকিস্তান গোলাপি বলের ম্যাচ আগে খেলে ফেললেও তা দেশের মাটিতে হয়নি। সেদিক থেকেও কলকাতার দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচটি ঐতিহাসিক। আর যে কোনো প্রথমের সঙ্গেই তো মানুষ নিজেকে জড়াতে চায়। দুই দেশের ৭০ হাজার মানুষকে ম্যাচের প্রথম দিনই সে সুযোগ করে দিচ্ছে ইডেন। টেস্ট ম্যাচটি যত বেশি দিন মাঠে থাকবে, দর্শকও তত বেশি নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবেন। দর্শকের জন্যই তো দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ আমদানি করেছে আইসিসি। এই ম্যাচের সফল আয়োজন হলে দিবারাত্রির টেস্টের জনপ্রিয়তা হু হু করে বেড়ে যাবে।
বিনোদন আর ক্রিকেট মিলে ইডেনের গোলাপি মঞ্চে দর্শকও ক্রিকেট রোমাঞ্চ উপভোগ করতে চান। টেস্ট ক্রিকেটের বিনোদনটা পুরোপুরি দেওয়ার চেষ্টা করবে দু'দলই।