চার উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ১৪:৩৩, ২২ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৪:৪১, ২২ নভেম্বর ২০১৯
গোলাপি বলে ভারতের বিপক্ষে শুরুতেই চার উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে শুভসূচনা করলেও শুরুতেই দলীয় রান ১৫ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর সাজঘরে ফিরে যান অধিনায়ক মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিম।
সাজঘরে ফেরার আগে ইমরুল কায়েস ১৫ বল খেলে মাত্র ৪ রানেই বিদায় নেন। এছাড়া মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিম শুন্য রানে বিদায় নেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬ রান।
ঐতিহাসিক এই টেস্টে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হক।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় খেলা শুরু হয়।
ঐতিহ্যবাহী ঘণ্টা বাজিয়ে দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘণ্টা বাজিয়ে খেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
ইন্দোরে সিরিজের প্রথম টেস্ট মাত্র তিনদিনে ইনিংস ও ১৩০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ওই সিরিজের দুঃসহ স্মৃতি ভুলে নতুন করে আগাতে চায় বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক এ ম্যাচকে স্মরণীয় করতে মরিয়া মুমিনুল হকরা। তাইতো, এ ম্যাচে ফিরতে বেশ আটঘাট বেধেই নামছে তারা।
অন্যদিকে, নিজেদের মাঠে ও টেস্ট ক্রিকেটে বেশ শক্তিশালী স্বাগতিক ভারত। টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়, চলমান টেস্টের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৩০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এগিয়ে রয়েছে তারা। ওই ম্যাচ থেকে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপ সম্পর্কে বেশ ভালভাবেই জানা টিম ইন্ডিয়ার। তারপরও, বেশ চ্যালেঞ্জ নিয়ে তারাও মাঠে নামছে আজ।
এদিকে, গোলাপি ম্যাচে টাইগার একাদশে এসেছে দুই পরিবর্তন। পেসার এবাদত হোসেনের জায়গায় ঢুকেছেন আল-আমিন হোসেন। আর স্পিনার তাইজুল ইসলামের স্থানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন নাঈম হাসান।
বাংলাদেশ একাদশ
ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ চৌধুরি, ইবাদত হোসেন, আল আমিন হোসেন।
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব।