গোলাপি বলে টাইগারদের যাওয়া-আসার মিছিল
প্রকাশিত : ১৫:০২, ২২ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৩০, ২২ নভেম্বর ২০১৯
ইডেন গার্ডেনসে ঐতিহাসিক ম্যাচটিতে গোলাপি বল টাইগারদের বিপক্ষেই যাচ্ছে। গোলাপি বলের পাশাপাশি আম্পায়ারও ছড়িয়েছেন আতঙ্ক। প্রথমে ইমরুল কায়েসকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। পরে রিভিউতে দেখা গেছে আউট হননি এই ওপেনার। দুই আতঙ্কে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের!
কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে ইতিহাস গড়া টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেন টাইগারদের দলপতি মুমিনুল হক। আর ঐতিহ্যবাহী ঘণ্টা বাজিয়ে দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের বিপক্ষে শুভসূচনা করলেও শুরুতেই দলীয় রান ১৫ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর সাজঘরে ফিরে যান অধিনায়ক মুমিনুল হক। এরপর ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিম।
এরপরও একপাশ আগলে রেখেছিলেন সাদমান ইসলাম। তাকে নিয়ে আশায় বুকে বেধেছিল বাংলাদেশের সমর্থকরা। কিন্তু ৫২ বোলে ২৯ রানে তাকেও সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ক্যাচ আউট হয়ে।
এর মধ্যে শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন, মুমিনুল, মিঠুন ও মুশফিক। ইমরুল কায়েসও করেছেন মাত্র ৪ রান। সাদমানের পর মাহমুদুল্লাহও ফিরেছেন মাত্র ৬ রান করে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২১ ওভার ৪ বোল শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৩ রান। ক্রিজে আছেন, নাঈম হাসান ও লিটন দাস।
ইন্দোরে সিরিজের প্রথম টেস্ট মাত্র তিনদিনে ইনিংস ও ১৩০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ওই সিরিজের দুঃসহ স্মৃতি ভুলে নতুন করে আগাতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক এ ম্যাচকে স্মরণীয় করতে মরিয়া মুমিনুল হকরা। তাইতো, এ ম্যাচে ফিরতে বেশ আটঘাট বেধেই নেমেছিল তারা।
অন্যদিকে, নিজেদের মাঠে ও টেস্ট ক্রিকেটে বেশ শক্তিশালী স্বাগতিক ভারত। টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়, চলমান টেস্টের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৩০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এগিয়ে রয়েছে তারা। ওই ম্যাচ থেকে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপ সম্পর্কে বেশ ভালভাবেই জানা টিম ইন্ডিয়ার।
বাংলাদেশ একাদশ
ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ চৌধুরি, ইবাদত হোসেন, আল আমিন হোসেন।
ভারত একাদশ
রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব।
একে//