বাংলাদেশ দলকে শূলে চড়ালেন গাভাস্কার
প্রকাশিত : ১৬:০০, ২৪ নভেম্বর ২০১৯
মুশফিকের ব্যাটে ভর করে ইনিংস হারের লজ্জা এড়ানোই তৃতীয় দিন লক্ষ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ভারতীয় বোলাররা সেই সুযোগটাও দিতে রাজি ছিলেন না। ফলে এক ইনিংস আর ৪৬ রানে হেরে গেল মুমিনুলরা। এতে ইন্দোর টেস্টের পর ইডেন টেস্টেও ইনিংস পরাজয়ের লজ্জায় ডুবতে হলো তাদের।
৬ উইকেটে ১৫২ রান নিয়ে কলকাতা টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে সফরকারীরা। ইনিংস পরাজয় এড়াতেই তখন প্রয়োজন আরও ৯০ রান।
এদিন, মুরালি কার্তিকের সঙ্গে টিভি দর্শকদের জন্য পিচ রিপোর্ট করতে নেমেছিলেন সুনীল গাভাস্কার। তবে তাদের কথোপকথনে পিচ নিয়ে কথা প্রায় থাকলই না।
আসলে ম্যাচের ভাগ্য নিয়ে সংশয় নেই কোনও। বাস্তবতা বলছে, পিচের সম্ভাব্য আচরণ নিয়েও কারও থাকার কথা নয় কৌতূহল। তারপরও প্রতিদিনের ধারা মেনে পিচ রিপোর্ট করতেই হয়। সেখানেই গাভাস্কার শূলে চড়ালেন বাংলাদেশ দলকে।
গাভাস্কার রাখঢাক না রেখেই বললেন, পিচ নিয়ে কথা বলারই কারণ নেই। বাংলাদেশ এতটাই সাধারণ দল যে, খেলা শেষ হবে দ্রুতই।
তিনি আরও বলেন, পিচ নিয়ে বলার কিছু আসলে নেই। পিচ কেমন করবে, তাতে যায়-আসে সামান্যই। এই বাংলাদেশ দল ‘অর্ডিনারি’, তাদের নিবেদন ‘অর্ডিনারি’, টেকনিক ‘অর্ডিনারি।’ পিচ যেমনই থাকুক, ম্যাচ আজকে শেষ হয়ে যাবে দ্রুতই।
এর একটু পরই টিভির বিশ্লেষণে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুসারীদের প্রতি সহমর্মিতাও জানালেন গাভাস্কার। বলেন, খারাপ লাগে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য। ক্রিকেটের প্রতি তাদের আবেগ প্রবল। কিন্তু দলের কাছ থেকে কতটা প্রতিদান পাচ্ছে তারা? এই দুই টেস্টে কোনও নিবেদন দেখা গেল না ক্রিকেটারদের, চোখে পড়ল না তাড়নার চিহ্ন।
শনিবার বিকালের পর থেকেই ইনিংসে হার বাঁচানোর লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে সফরকারীরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মুশফিকের লড়াই কাজে এল না।
রোববার ম্যাচের তৃতীয় দিনে ৪৩ রানে বাংলাদেশের বাকি ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ইনিংসে ইতি টানেন উমেশ যাদবরা। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করতে নামেননি মহমুদুল্লাহ। দিনের শুরুতেই শূন্য হাতে ফিরতে হয় এবাদত হোসেনকে।
তবে মুশফিক খেলছিলেন আস্থার সঙ্গে। আল আমিনকে আড়াল দিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বাউন্ডারির দিকে ছিল তার মনোযোগ। আউট হন সেই বাউন্ডারির চেষ্টাতেই। প্রান্ত বদল করা উমেশকে ওড়ানোর চেষ্টায় ধরা পড়েন রবীন্দ্র জাদেজার হাতে।
এতে ৫৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা মুশফিকের ৯৬ বলে খেলা ৭৪ রানের ইনিংস গড়া ১৩ চারে। পরের ওভারে আল আমিনকে কট বিহাইন্ড করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশকে গুঁটিয়ে দেন উমেশ। শেষ তিনটি উইকেটই নেন এই পেসার।
একে//