ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

টানা জয়ে শীর্ষে রাসেলের রয়্যালস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৭:১৮, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

সিলেটকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় রাজশাহীর

সিলেটকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় রাজশাহীর

প্রথম ম্যাচে দারুণ এক জয় পেলেও আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তেমন সুবিধা করতে পারেনি সিলেট থান্ডার্স। যার ফল স্বরূপ রাজশাহীর কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে মোসাদ্দেক-মিঠুনরা। আর টানা দুই রাজকীয় জয়ে টেবিলের শীর্ষে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজশাহীর বোলারদের আগ্রাসি বোলিংয়ে মাত্র ৯১ রানেই গুটিয়ে যায় সিলেট। জবাবে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ৫৫ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজশাহী।

দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ওপেনার লিটন দাস। তার অপরাজিত ২৬ বলের ইনিংসে ছিল সাতটি দুরন্ত চারের মার। এছাড়া আফিফ হোসাইনের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। ২৫ বল খেলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান তরুণ এই বাঁহাতি। 

সিলেটের ওই মামুলী সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে অবশ্য শূন্য রানেই উইকেট হারায় রয়্যালসরা। প্রথম ওভারটি করতে এসে কোনও রান না দিয়েই জাজাইকে তুলে নেন নাঈম হাসান। তবে শুরুর এই ধাক্কাকে দ্রুত সামলে নেন আফিফ হোসাইন ও লিটন দাস। মাত্র ছয় ওভারেই ৬২ রান তুলে ফেলেন এই জুটি। 

এসময় আফিফ নাভিন উল হকের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরলেও অবিচল ছিলেন লিটন। পরবর্তীতে শোয়েব মালিককে নিয়ে ২৩ বল থেকে বাকি রান তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন এই টাইগার। সঙ্গী শোয়েব অপরাজিত থাকেন তিন চারের মারে ১১ বল থেকে ১৬ রান করে। 

এদিন বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পঞ্চম ম্যাচে মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেন রাজশাহী রয়্যালস অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। ফলে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সিলেট।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল সিলেট থান্ডার। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন। দারুণ খেলছিলেন তারা। বেশ মেলবন্ধন গড়ে উঠেছিল তাদের মধ্যে। কিন্তু রাজশাহীর বোলারদের তোপের মুখে ব্যাটসম্যানদের যাওয়া আসার মিছিলে মাত্র ৯১ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট। 
 
দলকে শুভসূচনা এনে দেন দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও জনসন চার্লস। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ রান তোলেন তারা। তবে আন্দ্রে রাসেলের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে রনি (১৯) ফিরলে হোঁচট খায় সিলেট। সেই রেশ না কাটতেই এই শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন অলক কাপালি। ফিরিয়ে দেন অপর ওপেনার জনসন চার্লস (১৬) ও জীবন মেন্ডিসকে। এতে চাপে পড়ে তারা। শেষ পর্যন্ত ৯১ রানে গুটিয়ে যায় সিলেটের যাত্রা।

এদিন সিলেটের ইনিংসে ত্রাস ছড়ান রাজশাহীর বোলাররা। তবে সবচেয়ে বেশি সফল ছিলেন অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার অলক কাপালি। হ্যাটট্রিকের আশা জাগানো এই বোলার ১৭ রানের বিনিময়ে নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া বোপারা ও ফরাহাদ রেজা নেন দুটি করে উইকেট যথাক্রমে ১০ ও ৯ রানের বিনিময়ে।  

এদিকে, দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাত ৭টায় ঢাকা প্লাটুনের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ওয়ারিয়ার্স। রাজশাহীর কাছে হেরে ব্যাকফুটে থাকা মাশরাফিদের বিপক্ষে ম্যাচেও জয় পেতে চায় কুমিল্লা। 

আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ১০৫ রানের বিশাল জয় দিয়ে এবারের বিপিএল মিশন শুরু করে কুমিল্লা। সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় দাসুন শানাকার দল। অপরদিকে, ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া মাশরাফি-তামিমরা। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি