ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ওয়ালটন-ইমরুল তাণ্ডবে চট্টগ্রামের বিশাল স্কোর

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ২০:৫৭, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২১:১১, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯

ফিফটির পর ইম্রুল কায়েস

ফিফটির পর ইম্রুল কায়েস

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুরু থেকেই ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছেন অবহেলিত টাইগার ওপেনার ইমরুল কায়েস। জাতীয় দলের এ ওপেনার বিপিএলের চলতি আসরের ১৪তম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমত ঝড় তুলে হাঁকিয়েছেন দ্বিতীয় ফিফটি। আর ওয়ালটন তাণ্ডবে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে আজ ২৩৮ রানের বিশাল স্কোর গড়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। 

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা। ফলে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা চ্যালেঞ্জার্সদের ইনিংসে তৃতীয় ওভারেই আঘাত হানেন মুজিবুর রহমান। দলীয় ২১ রানেই বোল্ড হয়ে ফেরেন চট্টগ্রামের ক্যারিবীয় ওপেনার লেন্ডলন সিমন্স।

এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দোকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন ইমরুল কায়েস। পঞ্চম ওভারে পরপর দুই বলে দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলীয় ফিফটি রান পূর্ণ করেন কায়েস। আর ৩৩ বলে পূর্ণ করেন এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। 

যদিও এ ফিফটিকে বেশিদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি এই বাঁহাতি। আগের ফিফটির ইনিংসের মতই ৬২ রানে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার ৪১ বলের ওই ইনিংসে ছিল নয়টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কার মার। 

এই ইনিংসটি নিয়ে বিপিএলের চলতি আসরে আগের পাঁচ মাচে যথাক্রমে ৬১, ১২, ৪৪*, ৬ ও ৪০ করে ২২৫ রান করে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কায়েস। বিপিএলের এবারের আসরে রান সংগ্রহে দ্বিতীয় পজিশনে আছেন তারই সতীর্থ ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান চ্যাডউইক ওয়ালটন।ছয় ইনিংসে (৪৯*, ১৮, ৫০, ৯, ২৭* ও ৭১*) তার রান ২২৪। আর তিনে আছেন খুলনা টাইর্গাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। তিন ম্যাচে দুই ফিফটিতে (৬৪*, ৪২, ৬৬*) মোট ১৭২ রান করেছেন তিনি।   

এদিকে, এদিন ফিফটি না পেলেও কায়েসের থেকেও বেশি আগ্রাসী ছিলেন দলটির লঙ্কান ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্ডো। দুই রানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হওয়া এই ওপেনার খেলেন ২৭ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস। যাতে ছিল সমান তিনটি করে চার ও ছক্কার মার। 

শেষ দিকে চ্যাডউইক ওয়ালটন ও নুরুল হাসান সোহানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ২৩৮ রানের আরও একটি বড় স্কোর গড়ে চট্টগ্রাম। যা এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্ট সেরা স্কোর। যেখানে তাণ্ডব চালিয়ে মাত্র ২২ বলে ফিফটি তুলে নেন কারিবিয় দানব ওয়ালটন। অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৭১ রান করে। 

ওয়ালটনের ওই হ্যারিকেন ইনিংসে ছিল ছয়টি ছক্কা ও পাঁচটি চারের মার। আর সোহান অপরাজিত থাকেন ১৪ বলে ২৮ রান করে। যাতে ছিল দুটি করে ছক্কা ও চারের মার।  

এই দুজনের চালানো তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ঝড়টা বয়ে যায় সৌম্য আর রনির উপর দিয়ে। এ দুজনের করা শেষ দুই ওভারে পাঁচটি ছক্কা আর তিনটি চার হাঁকিয়ে মোট ৫৪ রান তুলে নেয় চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানদের স্বাচ্ছন্দের দিনে কুমিল্লার বোলাররা তেমন সুবিধা করতে না পারলেও যে চারটি উইকেট পড়ে তার দুটিই যায় অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকারের দখলে। যা নিয়ে এখন পর্যন্ত ৭টি উইকেট শিকারি সৌম্য আছেন উইকেট শিকারির তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।  

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি