নয়া নেতৃত্বে উজ্জীবিত রংপুরের লক্ষ্য ১৬৪
প্রকাশিত : ২০:২৬, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২০:৩৮, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
মুস্তাফিজের কাটারে বোল্ড হন সিমন্স
নতুন অধিনায়কের অধীনে দারুণভাবে উজ্জীবিত রংপুর। রেঞ্জার্সদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে আভিস্কা ফার্নান্ডো ছাড়া দাঁড়াতে পারেননি কেউই। একে একে সাজঘরে ফিরেছেন চট্টগ্রামের সাত ব্যাটসম্যান। যাতে আগেরমতো বড় স্কোর গড়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারলো না স্বাগতিকরা।
মুস্তাফিজ-গ্রেগরিদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান সংগ্রহ করেছে চ্যালেঞ্জার্সরা। চলতি বিপিএলে নিজেদের প্রথম জয় পেতে রংপুরকে করতে হবে ১৬৪ রান।
আজ শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদের প্রথম জয়ের খোঁজে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে মাঠে নামে রেঞ্জার্সরা। অন্যদিকে চ্যালেঞ্জার্সরা নামে ষষ্ট জয়ের খোঁজে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া এ ম্যাচে টস জিতে প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান রংপুরের নতুন অধিনায়ক টম অ্যাবেল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই (শূন্য রানে) উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। যে আঘাতটি হানেন শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামা মুস্তাফিজুর রহমান। এদিন যেন প্রথমবারের মতোই নিজেকে খুঁজে পেলেন কাটার মাস্টার। স্বমহিমায় ফিরে স্মরণীয় করে রাখেন নিজের মাইলফলকের ম্যাচটি।
চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২৩ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। তাকে ভালো সঙ্গ দেন লুইস গ্রেগরি। ২৭ রানের বিনিময়ে এই ইংলিশ অলরাউণ্ডারও তুলে নেন ২টি উইকেট। বাকি তিনটি উইকেট ভাগ করে নেন মোহাম্মদ নবি, সঞ্জিত সাহা ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
একটি উইকেট পেলেও বোলিংয়ে তেমন মুগ্ধতা ছড়াতে পারেননি এই তরুণ। রান দিয়েছেন ৪২টি। যদিও কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন ডানহাতি এই পেসার। ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় কাজে আসেনি সেসব।
যে কারণে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংস আসে আভিস্কা ফার্নান্ডোর ব্যাট থেকে। দুইবার জীবন পাওয়া এই ওপেনারের ৪০ বলের ওই ইনিংসে ছিল আটটি চার ও চারটি ছক্কার মার। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান আসে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে। অন্যদের দশোর্ধ ইনিংস মিলিয়ে শেষমেশ সাত উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম।
এনএস/