তামিম-আসিফ-ওয়াহাব তান্ডবে তছনছ রাজশাহী
প্রকাশিত : ২২:২৬, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ০০:১১, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯
তামিম ইকবাল
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ঢাকা প্লাটুনকে ভালোই চাপে রেখেছিল রাজশাহী কিংস। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি নিয়মিত উইকেটও তুলে নিচ্ছিলেন শোয়েব মালিক, রবি বোপারা, মোহাম্মদ ইরফানরা। যাতে ৮৪ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। তবে তামিম-আসিফ ঝড়ে ইনিংস শেষে ঢাকার স্কোর দ্বারায় ১৭৪-এ!
জবাব দিতে নেমে ঠিক যেমন শুরু করা দরকার ছিল, তেমনটাই করেন লিটন দাস ও আফিফ হোসাইন। বিশেষ করে ব্যাটে ঝড় তোলেন আফিফ। তবে তা স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। ওয়াহাব রিয়াজের এক তাণ্ডুবে ওভারেই যেন তছনছ হয়ে যায় সব। কোনও রান না দিয়েই তিন উইকেট তুলে নেন রিয়াজ।
পাকিস্তানি পেসার পরে আরও দুটি উইকেট নেয়ায় ১৬.৪ ওভারে ঠিক ১০০ রানেই গুটিয়ে গেছে রাজশাহী। যাতে ৭৪ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা প্লাটুন। রিয়াজের বোলিং তোপের দিনে রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে আফিফের ব্যাট থেকে। এছাড়া নাহিদুল ইসলাম ১৪, লিটন দাস ও বোপারা ১০ রান করে করেন। অন্যদিকে, মাত্র ৮ রানের বিনিময়ে পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে রাজশাহীকে তছনছ করে দেন রিয়াজ।
আর এই হারে পয়েন্ট টেবিলে ঢাকার নিচে নেমে গেল রাসেলের দল। আট ম্যাচে পাঁচ জয়ে খুলনা ও রাজশাহীর (রান রেট ০.৫) সমান ১০ পয়েন্ট পাওয়ায় নেট রান রেটে এগিয়ে গেছে ঢাকা (রান রেট ০.৫৭২)। অন্যদিকে, ঢাকার এই জয়ে বেশি লাভ হয়েছে চারে থাকা খুলনার। ০.৭৪২ নেট রান রেট নিয়ে দুইয়ে উঠে গেছে মুশফিকের দল। আর ১২ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি প্রথম স্থানে চট্টগ্রাম।
এর আগে শেষের ছয় ওভারে রাজশাহীর বোলারদের রীতিমতো কচুকাটা করেন ঢাকার দুই ব্যাটসম্যান। তামিম ইকবাল ও আসিফ আলি মিলে শেষ ছয় ওভারে তুলে নিয়েছেন ৭৯ রান।
ওপেনিংয়ে নামা তামিমের রান যেখানে এক পর্যায়ে ছিল ৩৮ বলে ৩৯, ইনিংস শেষে তার স্কোর দাঁড়ায় ৫২ বলে ৬৮। ৪টি চারের পাশাপাশি তিনবার বল হাওয়ায় ভাসিয়ে সীমানা ছাড়া করেন তামিম। আর আসিফ আলি তো ছিলেন আরও ভয়ঙ্কর।
সাতে নেমে মাত্র ২৮ বলে ৫৫ রান করেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। তার ইনিংসে ছিল ৪টি করে চার-ছয়ের মার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তোলে ঢাকা।
ঢাকার এই ইনিংসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক স্পিনার থেকে হঠাৎ অলরাউন্ডার বনে যাওয়া মেহেদি হাসান। ১১ বলে ২১ করেন এই তরুণ।
এনএস/