ফিটনেস টেস্টে ব্যর্থ হলে বেতন হারাতে হবে পাক ক্রিকেটারদের
প্রকাশিত : ১২:৩৬, ৪ জানুয়ারি ২০২০
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের ফিটনেস টেস্ট দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর সেই সঙ্গে টেস্টে উত্তীর্ণ না হতে পারলে মাসিক বেতনের ১৫ শতাংশ কেটে রাখার ঘোষণা দিয়েছে পিসিবি।
গতকাল শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এই বিষয়টি জানায়। কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত ১৯ ক্রিকেটারকে দিতে হবে এই ফিটনেস টেস্ট। জাতীয় অ্যাকাডেমিতে আগামী ৬-৭ জানুয়ারি খেলোয়াড়দের ফিটনেস টেস্ট নেওয়া হবে। তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলার কারণে ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ আমির এবং শাদাব খানের ফিটনেস টেস্ট হবে ২০ এবং ২১ জানুয়ারি।
পাকিস্তান জাতীয় দলের কন্ডিশনিং কোচ ইয়াসির মালিকের অধীনে এই টেস্ট নেওয়া হবে। যে পাঁচটি বিষয়ে ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে তা হলো- ফ্যাট অ্যানালিসিস, স্ট্রেন্থ, এন্ডুরান্স, স্পিড এন্ডুরান্স, ক্রস-ফিট ও ক্যারি ইকুয়াল ওয়েটেজ। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে প্রতিটি পরীক্ষাতেই নূন্যতম পাস মার্ক পেতে হবে। যদি ফলাফল সন্তোষজনক না হয় তবে বেতনের ১৫% কর্তন করা হবে এবং এই কর্তন চলতে থাকবে যতদিন না ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ না হয়।
শুধু বেতনই কাটা হবে না, সেই সঙ্গে যারা টানা টেস্টে ব্যর্থ হবে তাদেরকে বর্তমান ক্যাটাগরি থেকে অবনমিত করা হবে। যেমন কেউ বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে সে টানা ফেল করলে তার স্থান নেমে যাবে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। পাস না করা পর্যন্ত এমন অবনতি চলতেই থাকবে।
অভিযোগ রয়েছে পাক ক্রিকেটাররা খেতে বসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, এমনকি শরীরচর্চার ধারে-কাছেও যান না। মনে করা হচ্ছে, এসব অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে নিয়ে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলটিকে শক্তপোক্ত করতে পিসিবির এই কড়াকড়ি আরোপ।
এএইচ/