পঞ্চম জয়ে আশা জিইয়ে রাখলো কুমিল্লা
প্রকাশিত : ১৭:১২, ৭ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৭:১৬, ৭ জানুয়ারি ২০২০
সৌম্য সরকার
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ডেভিড মালান ও সৌম্যের ব্যাটিং নৈপূণ্যের কাছে নিজেদের ১২তম ম্যাচেও হারলো সিলেট থান্ডার্স। যাতে ১১টি হারের বিপরীতে সিলেটের জয় মাত্র একটি। আজ মঙ্গলবার কুমিল্লা ওয়ারিয়ার্সের কাছে সুরমা পাড়ের দলটি হেরেছে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানেই। আর এ জয়ে প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখলো সৌম্যরা।
এদিন কুমিল্লা ওয়ারিয়ার্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান তুলেছে সিলেট। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে পাঁচ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
জবাব দিতে নেমে অবশ্য শুরুতেই বিপাকে পড়ে ওয়ারিয়ার্সরা। নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে মাত্র ৩২ রানেই হারিয়ে ফেলে তিন টপ অর্ডারকে। তিনটি উইকেটই পকেটে ভরেন নাঈম। পরে মালান ও সৌম্যের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। সৌম্যকে নিয়ে মাত্র ৪৭ বলে ৭২ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন অধিনায়ক মালান।
ইবাদত হোসেনের শিকার হওয়ার আগে দুটি করে ছয় ও চারে ৪৯ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন সর্বোচ্চ এ রান সংগ্রাহক। এ ইনিংস নিয়ে তিন ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে ৬২.১৪ গড়ে সর্বোচ্চ ৪৩৫ রান করেন এই ইংলিশ মারকুটে। স্ট্রাইক রেট ১৪৬.৪৬। যেখানে চার মেরেছেন ৩৩টি এবং ছক্কা ১৯টি।
মালান ফিরলেও দলকে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করিয়েই মাঠ ছাড়েন চলতি বিপিএলে বোলিংয়ে সুনাম কুড়ানো সৌম্য সরকার। এই পথেই তুলে নেন এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটিও।
২০তম ওভারের প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে দলের জয়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের ফিফটিও পূরণ করেন সৌম্য। অপরাজিত থাকেন ৫৩ রান করে। তার ৩০ বলের অনবদ্য এ ইনিংসে ছিল ছয়টি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কার মার।
এর আগে সিলেটের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন আব্দুল মজিদ। এছাড়া জনসন চার্লস ২৬, জীবন মেন্ডিস ২৩ ও অধিনায়কত্ব পাওয়া আন্দ্রে ফ্লেচার করেছেন ২২ রান। আর মিঠুন করেন ১৮ রান।
কুমিল্লার পক্ষে এক সানজামুল ইসলাম বাদে প্রায় সবাই ভালো বোলিং করেছেন। ডানহাতি পেসার আল-আমিন হোসেন চার ওভারে ৩০ রানে নিয়েছেন দুটি উইকেট। ডেভিড হুইজিও ৩১ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। এছাড়া মুজিবুর রহমান ৪ ওভারে ২৩ রান খরচায় একটি উইকেট নেন।
এনএস/