গেইলের সামনেই কায়েস ঝড়, শীর্ষে চট্টগ্রাম
প্রকাশিত : ২৩:১০, ৭ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ২৩:২১, ৭ জানুয়ারি ২০২০
ইমরুল কায়েস ইন অ্যাকশন
অনেক জলঘোলার পর বঙ্গবন্ধু বিপিএল খেলতে সোমবার ঢাকায় পা রাখেন ক্রিস গেইল। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জার্সি গায়ে মঙ্গলবার মাঠেও নামলেন। রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচে তাই সব আলোই ছিল গেইলের ওপর। তবে গেইল নয়, শেষ পর্যন্ত ম্যাচটির সব আলো কেড়ে নিলেন ইমরুল কায়েস। দারুণ এক ফিফটি হাঁকিয়ে চট্টগ্রামকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন এই ওপেনার।
ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামকে অবশ্য দারুণ সূচনা এনে দিয়েছেন গেইলই। ওপেনিংয়ে নেমে ঝড় তুলেছিলেন ক্যারিবীয়ান দানব। তবে গেইল ঝড়টা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র ১০ বল খেলে ২৩ রান করে ফিরেছেন গেইল।
গেইল ফেরার পর তিনে নেমে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন কায়েস।
গেইল ফেরার পর তিনে নেমে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন কায়েস। লেন্ডল সিমন্সের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮.১ ওভারেই ৭৭ রান তুলেছেন। অপর প্রান্তে সিমন্স থাকলেও আক্রমণে এগিয়ে ছিলেন ইমরুলই। ৪৩ বলে ৫১ রান করে সিমন্স ফিরে গেলেও চট্টগ্রামের তাই কোনও অসুবিধা হয়নি জয় পেতে।
৩১ বলে ফিফটি পেরোনো ইমরুল এরপর মাহমুদউল্লাহ ও চ্যাডউইক ওয়ালটনের সঙ্গে ছোট ছোট দুটি জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দিয়েছেন ৯ বল আগেই। ১৮.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৭০ রান তুলে ফেলে চট্টগ্রাম। রাজশাহীর হয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বি ও ফরহাদ রেজা একটি করে উইকেট নেন।
৪১ বল খেলে ৩ চার আর ৫ ছয়ে ৬৭ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ম্যাচ সেরা কায়েস। এই রান করার মধ্যদিয়ে রান সংগ্রাহকের দিক দিয়ে মালানের (৪৩৫) পিছেই অবস্থান করছেন এই বাঁহাতি। ১০ ম্যাচে চার ফিফটিতে তার রান এখন ৩৮৬। সর্বোচ্চ ৬৪.৩৩ গড়ে এবং ১৩৪.৪৯ স্ট্রাইক রেটে এই রান করেন তিনি।
এর আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে রাজশাহী। পদ্মাপাড়ের দলটির হয়ে সর্বেচ্চ ৫৬ রান করেন লিটন কুমার দাস। এছাড়া শোয়েব মালিক ২৮, ফরহাদ রেজা ২১ ও আন্দ্রে রাসেল ২০ রান করেন। চট্টগ্রামের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন ও জিয়াউর রহমান।
এনএস/