ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

লিটন-শোয়েব ঝড়ে শীর্ষে রাজশাহী

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ১৭:১৩, ১১ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৭:২১, ১১ জানুয়ারি ২০২০

ফিফটি হাঁকানো লিটন কুমার দাসকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন শোয়েব মালিক

ফিফটি হাঁকানো লিটন কুমার দাসকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন শোয়েব মালিক

চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুরু থেকেই নিজেদের শক্তিমত্তা দেখিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রাজশাহীর কাছে অনেকটা উড়েই গেল মাহমুদুল্লাহর দল। বন্দর নগরীর দলকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষস্থান দখল করল রাজশাহী। 

রয়্যালসদের শীর্ষে ওঠা এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন লিটন কুমার দাস। ব্যাট হাতে এদিন রীতিমত তাণ্ডব ছড়ান রাজশাহীর এই ওপেনার। ১৬তম ওভারে গিয়ে লিটন যখন আউট হন, তখন তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছিল ৪৮ বলে ৭৫ রান। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা, সেইসঙ্গে ম্যাচসেরা এ ইনিংসে ছিল এগারটি চারের সঙ্গে মাত্র একটি ছক্কার মার। 

তবে ফেরার আগে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে যান তিনি। তাই ক্রিজে থাকা শোয়েব মালিক ও আন্দ্রে রাসেলের জন্য বাকি কাজটুকু সারতে কোনও সমস্যাই হয়নি। যদিও শেষ দিকে এসেও ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন শোয়েব। ২৫ বলে ৪৩ করে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার। 

এছাড়া ওপেনে নেমে লিটনের সঙ্গে ৮৮ রানের আরও একটি অনবদ্য জুটি গড়েন আফিফ হোসাইন। যেখানে তিনি খেলেন ৩১ বলে ৩২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। মূলত এই জুটিতেই বড় জয়ের ভিত পায় রাজশাহী।  

এর আগে দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে ১৬৬ রান করেও জয় পায়নি রাজশাহী রয়্যালস। তাই আজ টস জিতে ফিল্ডিং নেয় পদ্মা পাড়ের দলটি। আর এতেই বাজিমাত। কম রানেই আটকে গেছে চট্টগ্রাম। 

অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে ভর করে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ১৫৫ রান। তবে যথারীতি অনুজ্জ্বল ছিলেন ক্রিস গেইল।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে শুরু থেকেই যেন খোলস থেকে বেরুতে বিধ্বংসী ওপেনার ক্রিস গেইল। হাত খুলে খেলতে পারেননি আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকীও। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৮ বলে ৩৮ রান। এসময় জুনায়েদ ফিরে যান ২৩ বলে ২৩ রান করে।

অপরপ্রান্তে গেইল ২টি ছক্কা হাঁকালেও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারছিলেন না সেভাবে। আফিফ হোসেন ধ্রুবকে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলে আবারও বড় শট খেলার চেষ্টায় ক্যারিবিয় দানব আউট হন ২১ বলে ২৩ রান করে। দলের রান তখন ৯.৪ ওভারে মাত্র ৬০ রান।

এহেন অবস্থায় এদিন বেশি কিছু করতে পারেননি দারুণ ফর্মে থাকা ইমরুল কায়েসও। ১৮ বলে ১৯ রান করে ফেরেন দলের সেরা রান সংগ্রাহক। আর চ্যাডউইক ওয়ালটন সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৪ রান করে। 

পরে পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলকে সম্মানজনক একটা অবস্থানে নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ ও নুরুল সোহান। দুজনের জুটিতে ২৫ বলে আসে ৩৮ রান। শেষে সোহানের ১৬ বলে ৩০ রান আর মাহমুদুল্লাহর অপরাজিত ৪৮ রানের সুবাদে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৫৫ রান। 

রাজশাহীর পক্ষে আজ মোহাম্মদ ইরফান, আবু জায়েদ, শোয়েব মালিক, আফিফ হোসাইন ও তাইজুল ইসলাম একটি করে উইকেট লাভ করেন।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি