অবশেষে কাটল সেঞ্চুরি খরা, ঢাকাকে উড়িয়ে শীর্ষে খুলনা
প্রকাশিত : ২২:৪০, ১১ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ২৩:১০, ১১ জানুয়ারি ২০২০
নাজমুল হোসাইন শান্ত
অবশেষে কাটল বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সেঞ্চুরি খরা। চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন নাজমুল হোসাইন শান্ত। তরুণ এ ওপেনারের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে দুই শতাধিক রান করেও উড়ে গেল ঢাকা প্লাটুন। ১১ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয়ে রাজশাহীকে সরিয়ে শীর্ষে উঠে গেল খুলনা টাইগার্স।
আর তাতেই হলো নতুন ইতিহাস। বিপিএলে দুইশোর্ধ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড যে এটাই প্রথম! সেই ২০১৩ সালে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সের দেয়া ১৯৭ রানের চ্যালেঞ্জ জিতে নিয়েছিল সিলেট রয়্যালস।
আজ একই মাঠে ঢাকা প্লাটুন রানের পাহাড় গড়ে খুলনাকে ইতিহাস গড়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। সেখানেই বাজিমাত খুলনার। ইতিহাস গড়ার নায়ক শান্ত। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে করলেন সেঞ্চুরি; সেইসঙ্গে হয়ে গেলেন চলতি টুর্নামেন্টে তৃতীয় সেঞ্চুরিয়ান।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকা প্লাটুনের দেয়া ২০৬ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। ৫১ বলে ৭টি চার ও ৫টি ছক্কায় শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তরুণ এ বাঁহাতি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ১১৫ রান করে। তার ৫৭ বলের বিস্ফোরক ইনিংসে ছিল সাতটি ছক্কার পাশাপাশি আটটি চারের মার।
শান্তর আগে বিপিএলের ইতিহাসে দেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি পান তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান রুম্মন, মোহাম্মদ আশরাফুল ও শাহরিয়ার নাফীস।
শান্ত ছাড়াও খুলনার ইনিংসে ওপেনার মেহেদী মিরাজ ২৫ বলে ৪৫ রান ও রাইলি রুশো ১৭ বলে ২৩ রান করে আউট হন। আর মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন ১৮ রান করে।
এদিন শান্ত সেঞ্চুরি পেলেও মাত্র ৯ রানের জন্য বঞ্চিত হন টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে খ্যাত লিটল মাস্টার মোমিনুল হক সৌরভ। মূলত টেস্ট স্পেশালিস্ট হলেও ব্যাট হাতে রীতিমত তাণ্ডব চালালেন টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে। ফিরেছেন ৯১ রানের টর্ণেডো ইনিংস খেলে।
সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও মোমিনুলের ওই বিস্ফোরক ইনিংস আর মেহেদী হাসানের ঝড়ো ফিফটিতে দুই শতাধিক রানের বিশাল স্কোর গড়ে ঢাকা প্লাটুন। নির্ধারিত ওভারে চার উইকেট হারিয়ে মাশরাফির দল তুলেছে ২০৫ রান।
এদিন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ঢাকা প্লাটুন। তামিম ইকবাল (১), এনামুল হক বিজয় (১০) ও জাকির আলীর (১৪) উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন মোমিনুল হক ও মেহেদী হাসান।
চতুর্থ উইকেটে তাদের ১৫৩ রানের অনবদ্য জুটিতেই বিপর্যয় এড়িয়ে ওই পাহাড়সম স্কোর গড়ে ঢাকা। শেষ দিকে এসে মোমিনুল আউট হলেও ঝড় তোলা মেহেদী হাসান অপরাজিত থাকেন ৬৮ রানে। ক্যারিয়ার সেরা এ ইনিংসে খেলার পথে পাঁচটি ছক্কার বিপরীতে মাত্র তিনটি চার হাঁকিয়েছেন এই তরুণ।
এর আগে ৫৯ বলে সাতটি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে অনবদ্য ৯১ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন মোমিনুল। ঢাকার পক্ষে রবি ফ্রাইলিঙ্ক ২টি এবং মোহাম্মদ আমির ও শফিউল ইসলাম ১টি করে উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন দেদারছে। আগের দুজন ৩৫ করে দিলেও শফিউলের উপর দিয়েই ঝড় বয়ে যায় সবচেয়ে বেশি। তার চার ওভারে ৫০ রান তুলে নেন মোমিনুল-মেহেদিরা।
এনএস/