বিধ্বংসী আমিরে ফাইনালে খুলনা
প্রকাশিত : ২২:৩০, ১৩ জানুয়ারি ২০২০
মোহাম্মদ আমির
মোহাম্মদ আমিরের পেস আক্রমণে বিধ্বস্ত রাজশাহী রয়্যালস। স্বদেশি শোয়েব মালিক একা লড়েও দলকে বাঁচাতে পারেননি সেই ধ্বংসলীলা থেকে। ফলে ২৭ রানের জয়ে ফাইনালে চলে গেল খুলনা টাইগার্স।
ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে ১৫৯ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩৩ রানেই প্রথম সারির ৬ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আন্দ্রে রাসেলের নেতৃত্বাধীন রাজশাহী। এরপর শোয়েব মালিক একা লড়াই করে চেষ্টা চালান দলকে সেই অবস্থা থেকে টেনে তুলতে। খেলেন ৫০ বলে ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংস। যাতে ছিল দশটি চারের সঙ্গে চারটি ছক্কার মার।
কিন্তু আমিরের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দিনে তা কাজে আসেনি রাজশাহীর। মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে একে একে ৬টি উইকেট তুলে নেন ম্যাচসেরা আমির।
ইনিংসের শুরুতেই রাজশাহী শিবিরে একে একে তিনটি আঘাত হানেন খুলনার পাকিস্তান সেরা পেসার মোহাম্মদ আমির। তার গতির বলে ইনিংসের তৃতীয় বলেই স্ট্যাম্প ভেঙে যায় রাজশাহীর ওপেনার লিটন কুমার দাসের।
দলীয় ২২ রানে আমিরের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অন্য ওপেনার আফিফ হোসেন। রানের খাতা খোলার আগেই আমিরের বলে শামসুর রহমান শুভর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অলক কাপালি।
আমিরের পর রাজশাহী শিবিরে আঘাত হানেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক। তার বলে রাইলি রুশোর দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন রাজশাহীর ইংলিশ ব্যাটসম্যান রবি বোপারা। দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ের দিনে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল।
ইনিংসের ষষ্ঠ এবং আমির নিজের ব্যক্তিগত চতুর্থ ও শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আন্দ্রে রাসেলকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। ঠিক পরের বলে ক্যাচ তুলে দেন নতুন ব্যাটসম্যান ফরহাদ রেজা। কিন্তু খুলনার তরুণ বোলার শহিদুল ইসলাম ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি।
এরপর দলীয় অষ্টম ওভারে রাজশাহী শিবিরে আঘাত হানেন শহিদুল ইসলাম। নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ফরহাদ রেজা। তার বিদায়ে ৩৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় রাজশাহী।
সোমবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর ফিফটিতে ভর করে ৩ উইকেটে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে খুলনা টাইগার্স। দলের হয়ে ৫৭ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন শান্ত। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন খুলনার এ তরুণ ওপেনার।
এনএস/