মাদ্রাসা ফাঁকি দেয়া সেই তরুণ এখন জাতীয় দলে
প্রকাশিত : ১৭:১৪, ১৯ জানুয়ারি ২০২০
হাসান মাহমুদ ও তার পরিবার
বোলার হিসেবেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেন হাসান মাহমুদ। বোলিংটা তার মিডিয়াম পেস। ২০১২ সালের শেষদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা ক্রিকেট একাডেমির কোচ মনিরের সংস্পর্শে আসেন হাসান। বিকেএসপিতে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে তার বোলিংয়ে গতি বেড়ে যায়। এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে সুযোগ পান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলার।
আর সদ্য সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু বিপিএলে আলো ছড়িয়ে হাসান মাহমুদ জায়গা করে নিয়েছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও। এখন অপেক্ষা শুধুই জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের। একাদশে জায়গা পেলে হয়ে যাবে সেটাও। এক কথায় যা হবে অনবদ্য।
এদিকে, বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪২.৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করেছেন হাসান। ১৩ ম্যাচে যদিও শিকার করেছেন ১০ উইকেট। তবে খেলাটির প্রতি তার অগাধ ভালোবাসাই এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে লক্ষ্মীপুরের ২০ বছর বয়সী এই তরুণকে। যার প্রমাণ মেলে, একটা সময় মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়ে তার ক্রিকেট খেলা।
এ ব্যাপারে হাসানের বাবা ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলায় হাসানের আগ্রহ বেশি ছিল। কিছু কিছু সময় খেলার মাঠ থেকেই সে পরীক্ষা দিতে যেত। মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়ে সে ক্রিকেট খেলত।
ভালো বোলিং করেই হাসান মাহমুদ দেশের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখবে বলেই আশা প্রকাশ করেন তার বাবা।
এনএস/