১২ বছর পর পাকিস্তানে বাংলাদেশ, সমীকরণে কে এগিয়ে
প্রকাশিত : ১২:১৭, ২৪ জানুয়ারি ২০২০
দীর্ঘ একযুগ পর পাকিস্তানের মাটিতে এখন বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের দেশে সফরকারী তামিম ইকবালরা সর্বশেষ গিয়েছিল ২০০৮ সালে। যেখানে শোয়েব মালিকদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও একটি টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল টাইগাররা।
যদিও একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচসহ সবগুলোতেই হেরেছিল বাংলাদেশ।
এবার নিরাপত্তার শঙ্কা নিয়ে দীর্ঘ সময় পর সফরকারীদের বিপক্ষে নিজ মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছে বাবর আজমরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় আবারও দেখা হচ্ছে উভয়ের।
তিন ম্যাচের এ টি-টোয়েন্টি সফরে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে তারা। যেখানে নিরাপত্তায় থাকবেন দশ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা বাহিনী। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ হবে আগামি ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি একই মাঠে।
দীর্ঘ এ সময়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়েছে অনেকদূর। তবে বাংলাদেশের তুলনায় এগিয়ে স্বাগতিকরা। ২০০৯ সালে করাচিতে শ্রীলংকার ওপর হামলার পর থেকে খুব বেশি আগাতে পারেনি দলটি।
সেই থেকে নিরাপত্তাহীনতায় কোনো দেশ খেলতে যায়নি লাহোরের মাটিতে। বাংলাদেশ সফরের আগে গত বছরের শেষের দিকে পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হয় ২০০৯ সালে হামলার শিকার হওয়া সেই শ্রীলংকার হাত ধরে।
নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা নিয়েই এবার দীর্ঘ ১২ বছর পর লাহোরের মাটিতে মাহমুদুল্লাহরা। ২০০৮ সালের ওই সফরের খেলোয়াড়দের মধ্যে অধিনায়ক রিয়াদ ও ওপেনার তামিম ইকবাল ছাড়া আর কেউ নেই। ফলে নতুনদের নিয়েই বাজিমাত করার স্বপ্ন দেখছেন মাহমুদউল্লাহ।
তবে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটেই খুব একটা আশা ব্যঞ্জক নয় লাল-সবুজদের। টি-টোয়েন্টিতে আগের ১০ বারের দেখায় মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, ৮টিতে পাাকিস্তান। পারফর্মেন্সের বিচারেও এগিয়ে স্বাগতিকরা।
তবে সদ্য শেষ হওয়া বঙ্গবন্ধু বিপিএলের অভিজ্ঞতা ও ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন দলীয় কোচ রাসেল ডোমিঙ্গ। এটাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলার কথাও জানিয়েছেন টাইগার দলপতি।
অপরদিকে, সর্বশেষ লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টিতে হোয়াট ওয়াশ হয়েছে বাবর আজমরা। তারপরও এ সংস্করণের শীর্ষে মিসবাউল হকের নেতৃত্বে থাকা পাকিস্তান দল। যেখানে ৯ নম্বরের ঝুলছে সফরকারী বাংলাদেশ।
অপর দুই ফরম্যাট ওয়ানডেতে ৩৫ বারের দেখায় ৩০টিতে পাকিস্তান, ৫টিতে বাংলাদেশ এবং টেস্টে ১০ বারের দেখায় একটিতে ড্র ব্যতীত ৯টিতেই জয় পেয়েছে মোহাম্মাদ হাফিজরা।
এআই/